ফরিদপুরের সেই ব্রিজে লোহার রেলিং প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু
- ফরিদপুর সংবাদদাতা
- ২৬ আগস্ট ২০১৯, ১২:৩০, আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০১৯, ১২:৩৪
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের ধুলদী এলাকায় একটি সেতুতে থাকা বাঁশের রেলিং ভেঙ্গে বাস খাদে পড়ে ঘটা মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গত শনিবার ৮জন নিহতের ঘটনায় দুর্ঘটনাকবলিত সেতুটিতে বাঁশের রেলিংয়ের পরিবর্তে লোহার রেলিং প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু করেছে ফরিদপুর সড়ক বিভাগ। রোববার দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে অস্থায়ী ভাবে বাঁশের রেলিং নির্মাণ করার পর সোমবার সকালে লোহার রেলিং বা অ্যাঙ্গেল প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়। এর আগে শনিবার দুর্ঘটনার পর রোববার ফরিদপুর সড়ক বিভাগ সেতুর ভাঙ্গা রেলিংটি পুনরায় বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে নির্মাণ করে। এদিকে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বারী জানান, এটি সাময়িক অস্থায়ী পদক্ষেপ। ৩০ বছর আগের ওই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটির পাশে আরেকটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার পর পুরনো ব্রিজটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে নতুন ব্রিজে যান চলাচল শুরু হলেও আবারো পুরনো ব্রিজ দিয়েই যান চলাচল করছে। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আশা করছি নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তখন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হবে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোঃ আসলাম মোল্লাকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), সড়ক বিভাগের প্রতিনিধি, বিআরটিএ’র প্রতিনিধি।
অপরদিকে হাইওয়ে পুলিশের উদ্যোগে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলামকে। কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন- হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার কে এম আব্দুল্লাহ ও আল্লাহদীপুর হাইওয়ে থানার ওসি মাসুদ পারভেজ।
দুই তদন্ত কমিটিকেই আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি এফএম নাছিম জানান, এ সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে গত শনিবার রাতেই ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জগামী কমফোর্ট লাইনের একটি বাস ধুলদী এলাকায় সেতুর রেলিং ভেঙ্গে ১৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত হয় ৮জন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা