‘রাতে সিল মেরে বাক্স ভর্তি’ : কটিয়াদি উপজেলায় ভোট স্থগিত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ মার্চ ২০১৯, ১১:৫২
ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা পরই কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলায় সবকটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে রাখার।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে ভোট গ্রহণ স্থগিতের ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো: তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গতকাল রাতে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোটের বাক্স ভর্তি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সকাল ১০টার দিকে ভোট স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এর আগে এই অভিযোগে প্রথমে পাঁচটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ রেখে বাকি ৮৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। পরে ৮৯টি কেন্দ্রের সব কটিতে ভোট গ্রহণ বন্ধের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
একই সাথে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোটের বাক্স ভর্তি করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো: শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শামসুদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: তাজুল ইসলাম।
তৃতীয় পর্যায়ে দেশের ১১৭ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ রোববার সাত বিভাগের ২৫ জেলায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এই তিনটি পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ দুটিতে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে উন্মুক্ত রেখেছে।
দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোট এ নির্বাচন বর্জন করেছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ে সাত বিভাগের ২৫ জেলার ১১৭টি উপজেলায় ১ হাজার ৩৭৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৫৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬০৪ জনএবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪১৪ জন।
অন্যদিকে, এসব উপজেলায় মোট ভোটার ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৮ জন। কেন্দ্র সংখ্যা ১০ হাজার ১৮টি। তৃতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে কয়েকটি উপজেলায় ইভিএম ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন।
ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় ধাপে ১২৭টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হলে এর মধ্যে ছয়টি উপজেলার সবপদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোট হবে না। এছাড়া, এই পর্যায় থেকে কক্সবাজার সদর ও নরসিংদী সদরের ভোট চতুর্থ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ভোট স্থগিত রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা