চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতহানির ঘটনায় গ্রেফতার আরো ২
- টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
- ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩৮
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মূলহোতা আলমগীরসহ আরো দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার অন্যজন হলেন আলমগীরের সহোদর ভাই রাজিব।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার সাবুপাড়া গ্রাম থেকে প্রথমে আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে ঢাকার আশুলিয়া থানার ধানসোনা পশ্চিম পলাশবাড়ি এলাকা থেকে রাজিবকে গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন আলমগীর (৩৪) ও রাজিব (২১)। তারা মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার আমতলী গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত নগদ চার হাজার ২১০ টাকা, দু’টি রূপার আংটি, ১০টি মোবাইল ফোন, পাঁচ জোড়া অ্যামিটেশন চুরি, তিনটি ব্যাগ, তিনটি জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি এটিএম কার্ড, ভুক্তভোগী বাসযাত্রীর একটি টিকিট এবং ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত দু’টি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, মহাসড়কে আন্ত:জেলা বাস ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ডাকাত সর্দার আলমগীরকে গুপ্তচরের তথ্য মোতাবেক গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলাসহ মাদক মামলা রয়েছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে এ ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২১ ফেব্রুয়ারি ওই বাসের যাত্রী ওমর আলী অজ্ঞাত আট থেকে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এর আগে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া তিন আসামির মধ্যে মো: সবুজ (৩০) ও শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ (২৮) আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অপর আসামি শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল মুহিতকে (২৯) পাঁচদিনের রিমান্ড দেন আদালত।
এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মির্জাপুর থানার এএসআই মো: আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করে টাঙ্গাইলের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।