ঘিওরে মাদরাসা শিক্ষিকার গলাকাটা লাশ উদ্ধার
- ঘিওর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:১৬
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ঠাকুরকান্দী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সুমাইয়া আক্তার (৪০) নামের এক মাদরাসা শিক্ষিকার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ঘিওর থানা পুলিশ ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সুমাইয়া আক্তার ঘিওর সদর ইউনিয়নের ঠাকুরকান্দি গ্রামের মোস্তাক আহমেদের স্ত্রী। তিনি ঠাকুরকান্দী পশ্চিমপাড়া জবেদা খাতুন দারুল উলুম মহিলা মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। নিহত সুমাইয়া আক্তারের স্বামী মোস্তাক আহমেদ ঘিওর থানাধীন বাইলজুরি বাজারে পোলট্রি ফিডের ব্যবসা করেন। তাদের তিন ছেলের সবাই মাদরাসায় পড়ে।
বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবালয় সার্কেল সাদিয়া সাবরিনা চৌধুরী, ঘিওর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।
নিহত সুরাইয়ার স্বামী মোস্তাক আহমেদ বলেন, রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে ঘরে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করি। পরে বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণের বাথরুমের সামনে গলা কাটা ও রক্তাক্ত অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখি। প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে দ্রুত ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি। এরপর পুলিশ আসে।
নিহতের দেবর খন্দকার লাল মাহমুদ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যার পর নিহতের লাশ দাফন করা হবে। তবে একটু সময় লাগবে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাত নয়টার দিকে গৃহবধু সুমাইয়া আক্তারকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গলায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মোস্তাক আহমেদ ও প্রতিবেশী আলী হাসান খন্দকারের ছেলে বাপ্পি খন্দকার (১৮) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।