০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১, ৫ শাবান ১৪৪৬
`

কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মাওলানা মুহিবুল্লাহ

কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মাওলানা মুহিবুল্লাহ - ছবি : নয়া দিগন্ত

উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও ভোলার মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা মুহিবুল্লাহকে মুক্তি না দিয়ে কারাগারে আটকে রাখায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনকারীরা।

এ সময় কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ও জেলারের বিরুদ্ধে আদালতের রায় অবমাননার অভিযোগ করেন তারা।

মঙ্গলবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকের সামনে বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের ব্যানারে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভের পর বিকেলে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মো: শফিকুল ইসলামসহ আন্দোলনকারীরা জানান, ভোলা জেলার একটি মাদরাসার জনপ্রিয় শিক্ষক মাওলানা মুহিবুল্লাহ ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ বিলাইছড়ি থানার সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেফতার হন। তিনি ভোলার সদর থানার চরসিফলি গ্রামের আব্দুর রব মাস্টারের ছেলে। ওই মামলায় গত ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানা ও বিলাইছড়ি থানায় আরো দু’টি মামলা রয়েছে। ওই দুই মামলায় আগেই তিনি জামিন পান। হাইকোর্ট থেকে জামিনের কাগজ পত্রগুলো বিগত চারদিন আগে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। কিন্তু জামিনের কাগজ পাওয়ার পরও তাকে মুক্তি না দিয়ে আটকে রাখে কারাকর্তৃপক্ষ।

তারা আরো জানান, মাওলানা মুহিবুল্লাহকে মুক্তি না দেয়া এবং কারাগারে আটক রেখে জেল সুপার ও জেলার আদালতের রায় অবমাননা করেছেন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শুরু হয়। এরপর বিকেল ৪টার দিকে তাকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।

মুক্তির পর মাওলানা মুহিবুল্লাহ বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, কারাগারে সাবেক জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা তাকে নানাভাবে নির্যাতন করেছে। আমাদের নির্যাতন করার জন্যই নাকি তাকে এ কারাগারের জেল সুপার পদে পোস্টিং দিয়ে রাখা হয়েছিল। এতো কিছুর পরও তাকে বদলি করা হয়েছে সেটি কি যথেষ্ট। তাকে চাকুরিচ্যুত করে তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বলেন, জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছার পরে তাকে ২৪ ঘণ্টার বেশি আটকে রাখার সুযোগ নেই। মাওলানা মহিবুল্লাহকে নিয়েই আমরা বাড়ি ফিরেছি। আমাদের আন্দোলনের মুখে পৌনে ৪টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের নিয়মের মধ্যে থেকেই কাজ করতে হয়। জামিনের কাগজ পাওয়ার পর তা যাচাই বাছাই করেই তাকে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ছেড়ে দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement