নবাবগঞ্জে স্বামী হত্যার অভিযোগে স্ত্রী ও শাশুড়ি আটক
- নবাবগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৫৮
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর মিয়াহাটি গ্রামের আব্দুস সালামকে (৫০) স্ত্রী সানজিদা আক্তার ওরফে জোসনা পিরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্ত্রী ও শাশুড়িকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
নিহত আব্দুস সালাম (৫০) দোহারের কাটাখালীর নিয়ামত সুকানীর ছেলে। তিনি নবাবগঞ্জ শশুর বাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সালামের স্ত্রী সানজিদা আক্তার ওরফে জোসনার সাথে ছেলেকে স্কুলে নেয়ার বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের (স্বামী-স্ত্রীর) মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এসময় স্বামী সালাম তার স্ত্রীকে চুল ধরে মারতে গেলে স্ত্রী জোসনা আক্তার একটি কাঠের পিরি দিয়ে স্বামীকে মাথায় আঘাত করে। সালাম অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এসময় স্ত্রী জোসনা ও প্রতিবেশী মিনহাজ এবং রাতুল মুমূর্ষু সালামকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুস সালামকে মৃত ঘোষণা করে। সংবাদ পেয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এসময় হাসপাতাল থেকেই হত্যায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রী সানজিদা আক্তার ওরফে জোসনা (৩২) ও শাশুড়ি রওশনারা বেগমকে (৬০) আটক করে পুলিশ।
গালিমপুর তদন্ত কেন্দ্রের এস আই ফয়সাল হাসান বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় তার মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
থানায় আটক জোসনা বলেন, সে পিরি দিয়ে তার স্বামীকে আঘাত করেনি। তবে পিরি নিয়ে স্বামীকে আঘাত করতে উদ্যত হলে তার মা তাকে বাধা দেয়।
দোহার সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম জানান, প্রাথমিকভাবে এটাকে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।