০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১, ১ শাবান ১৪৪৬
`

ঘন কুয়াশায় ফেরি বন্ধের সুযোগে চলে ট্রলার, ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পার

- ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-পথে ঘন কুয়াশার কারণে বেশিভাগ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

আজ শনিবার রাত ৩টা থেকে এ নৌ-পথে ফেরিসহ অন্য নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে শীতের এই সময়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে পদ্মা নদীতে যাত্রী ও মোটরসাইকেল পারাপার হচ্ছে দেদারসে। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকলেও নৌ-পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই।

দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক এনামুল হক এ তথ্যের আংশিক স্বীকার করে বলেন, ‘কুয়াশায় ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে যাত্রী পারাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে। এরপরও যাত্রী পারাপারের কথা শুনে গত সপ্তাহে একাধিক অভিযান চালিয়েছি। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই ওরা সটকে পড়েন। জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সরেজমিনে সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা গেছে, কয়েকজন ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে যাত্রী পারাপার করছেন। ঘাট এলাকায় নৌ-পুলিশের সদস্যদের দেখা যায়নি। গত কয়েকদিনও এ চিত্র দেখা গেছে। ঘন কুয়াশায় ফেরি বন্ধের সময় ট্রলারে অহরহ যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

ঘাটে থাকা বাসযাত্রী মিলন মোল্লা বলেন, ‘এই ঘন কুয়াশায় অবৈধভাবে অনেক ট্রলার চলাচল করছে। এখানে উচিত ছিল কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া। কিন্তু কোনো প্রশাসনিক লোককে দেখছি না। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

মাগুড়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রী এবাদত হোসেন বলেন, ‘এখানে ঘন কুয়াশার কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি ফেরি বন্ধ, কিন্তু নদীতে অনেক ট্রলার চলাচল করছে। আবার অনেককে দেখছি ঝুঁকি নিয়েই নদী পারাপার হচ্ছে। এখানে নৌ-পুলিশ নাই, নিরাপত্তাও নাই।’

কুষ্টিয়া থেকে আসা যাত্রী সোহেল ও সালাউদ্দিন নামের দুই মোটরসাইকেল আরোহীর সাথে কথা হয়। তারা বলেন, ‘জরুরি কাজে সাভার যেতে হবে। কখন ফেরি ছাড়বে, কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই মোটরসাইকেল ভাড়া ৫০০ ও দু’জনের ভাড়া ২০০ টাকা হলেও দর-কষাকষি করে মোট ৬০০ টাকায় ট্রলারে উঠেছি।’

এ বিষয়ে সন্টু নামের এক ট্রলারচালক বলেন, ‘আজ রাত থেকে কুয়াশায় ফেরি বন্ধ। ঘাটেই বসে ছিলাম। ভাবলাম দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ায় একটি ট্রিপ দিয়া আসি। তবে কুয়াশায় নদী পার হতে বেশি সময় লাগছে।’

ঘাট সংশ্লিষ্টদের মতে, ঘন কুয়াশায় ফেরি ও লঞ্চ বন্ধ রাখার সুযোগে ঘাটের সুবিধাভোগী চক্র বাড়তি টাকা নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে যাত্রী ও মোটরসাইকেল পারাপার করছে। চার কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিতে যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা এবং মোটরসাইকেল পারাপারে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। কখনো কখনো এর চেয়ে বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ঈশ্বরগঞ্জে আইসক্রিম কারখানায় আগুন নির্বাচন ছাড়া অন্য বিষয়ে সরকারের আগ্রহ সন্দেহজনক : গয়েশ্বর দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়ার ৪ চিকিৎসক যৌথবাহিনীর অভিযানে যুবদল নেতার মৃত্যু : জরুরি তদন্তের নির্দেশ সরকারের ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা : পঞ্চগড়ে দালাল ও শিশুসহ তিন বাংলাদেশী আটক চৌগাছায় পেঁয়াজ চাষে লোকসান, উঠছেনা উৎপাদন খরচ যে কারণে বাংলাদেশকে উন্নয়ন সহযোগিতা বন্ধ করছে সুইস সরকার হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে, ছাত্ররা ক্যাম্পাসে : রিজভী যুবদল নেতার মৃত্যু : ক্যাম্প কমান্ডার প্রত্যাহার, উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন ‘দুর্বল তদন্ত ও অপেশাদার প্রসিকিউশন ন্যায়বিচারের অন্যতম অন্তরায়’

সকল