২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ মাঘ ১৪৩১, ২২ রজব ১৪৪৬
`

বেক্সিমকোর শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, বাস-ট্রাকে আগুন

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। ২২ জানুয়ারি, বুধবার। - ছবি : নয়া দিগন্ত

দাবি আদায় না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তিনটি বাস ও একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আরো চারটি বাস ও একটি প্রাইভেটকারে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় পথচারীসহ স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চক্রবর্তী ও মুজারমিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার শ্রমিকদের এক গণসমাবেশ থেকে আজকে বিকেল ৩টার মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, পূর্ব ঘোষণা অনু্যায়ী বুধবার বিকেল ৩টায় আশুলিয়ার শ্রীপুরস্থ সানসিটি মাঠে শ্রমিকরা জড় হয়। তাদের দাবি আদায়ে আল্টিমেটাম ছিল ৩টা পর্যন্ত। পরে তাদের কোনো দাবি না মানায় প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার শ্রমিক নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে উঠে অবরোধ শুরু করে।
এতে ওই মহাসড়কের উভয় পাশে পরিবহণ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শ্রমিকরা মহাসড়কে থাকা যানবাহন ভাঙচুর শুরু করে। একপর্যায়ে তিনটি বাসে ও একটি মালবাহী ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। সেই সাথে আর চারটি বাস ও একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও শিল্পপুলিশ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পরে শ্রমিকদের অপর একটি গ্রুপ প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের মালিকানাধীন গ্রামীণ ফেব্রিকস অ্যান্ড ফ্যাশনের প্রধান ফটক ভাঙচুর করে এবং একপর্যায়ে আগুন দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী বলেন, গাড়িতে আগুন দেয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বাসসহ কয়েকটি ট্রাকে তারা আগুন দেয়। তবে ট্রাকে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ফিরছি, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গণ অভ্যুত্থানের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের মালিক সালমান এফ রহমান গ্রেফতার হওয়ার পরেই বেক্সিমকোর প্রায় ১৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে বন্ধ কারখানা খুলে দেয়া, বকেয়া বেতন ও ব্যাংকিং সুবিধাসহ নানা দাবি জানিয়ে প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী আন্দোলন করে যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
রাজউকের ২০ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা জাপান সফরে উন্নয়নের কথা বলে অর্থনীতিকে মেরুদণ্ডহীন করেছে আ’লীগ : নূরুল ইসলাম বুলবুল ভোরের কাগজ বন্ধের ঘোষণায় বিএফইউজে ও ডিইউজের নিন্দা অবশেষে সেই নারায়ণের বিরুদ্ধে ফল জালিয়াতির মামলা বনানীতে দুই সেনা সদস্যসহ ৪ ডাকাত গ্রেফতার দাবি না মানলে ট্রেন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি রানিং স্টাফদের মিরসরাইয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড দুই মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে নদভী ইঞ্জিনিয়ার বোরহানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি হরিপুরে গণপিটুনিতে মোটরসাইকেল চোরের মৃত্যু হবিগঞ্জের সাবেক এমপি আবু জাহিরের সম্পত্তি ক্রোক

সকল