স্ত্রীর করা মামলায় নবাবগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতা পাবেল গ্রেফতার
- নবাবগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতাদ
- ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:০৪
স্ত্রীর সাথে প্রতারণা করে একাধিক বিয়ে করায় স্ত্রীর করা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাবির হোসেন পাবেল।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে পাবেলের প্রথম স্ত্রী ফারহানা ঋতু এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
সকালে পাবেলের প্রথম স্ত্রী ফারহানা ঋতু জানান, পাবেল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, ডাকাতিসহ অনেক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলারও আসামি তিনি। ওই মামলার প্রধান আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পাবেলের প্রথম স্ত্রীর করা একটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্তচর গ্রামের বাসিন্দা পাবেল গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। পাবেলের বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত মামলার তথ্য গোপন করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে নির্বাচনের আড়াই বছর পর পদ থকে অপসারণ করে। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাবেল পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।
বলমন্তচর বাসিন্দা সাবেক ব্যাংকার আব্দুর রউফ মণ্টু বলেন, পাবেল একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বাহিনীর অত্যাচারে নবাবগঞ্জবাসী অতিষ্ঠ ছিল। পাবেল আামর বাসায় ২০২৩ ও ২৪ সালে পরপর দুইবার গুলি করে। ওই সময় প্রশাসনকে জানিয়েও প্রতিকার পাইনি। তবে সে গ্রেফতার হওয়াতে এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে।
পাবেলের নামে নবাবগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা থাকলেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের আশ্রয়ে ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিল সে। নবাবগঞ্জে বাস ডাকাতি মামলারও আসামি ছিল।
এছাড়া নারায়নগঞ্জে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ আটক হয়। ওই মামলায় ১৭ বছর সাজা হয়েছিল।
ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন বলেন, ২০২০ সালের ১৮ জুলাই পাবেল ও তার বাহিনী আমার ক্যাবল ব্যবসা দখল করতে অফিসে হামলা করে। এ সময় ভাগিনা সাজিদসহ কয়েকজন আহত হয়। পরে আমাকে হত্যার জন্য তারা কিলার ভাড়া করে। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় জিডি ও অভিযোগ রয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, তার নামে নবাবগঞ্জ থানায় ২০০৯ সালের একটা মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। একাধিক সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) আছে তার বিরুদ্ধে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা