১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২ মাঘ ১৪৩১, ১৫ রজব ১৪৪৬
`

বারিতে শ্রমিকদের ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ

বারিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শ্রমিকরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) শ্রমিকরা বেতন ভাতা বৃদ্ধি, নিয়মিতকরণ ও হয়রানিমূলক বদলি করা বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিএআরআই শ্রমিক সমিতির উদ্যোগে বারির সদর দফতরের সামনে দুপুর পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা দাবি মেনে নেয়ার জন্য আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে তারা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপও কামনা করেন।

জানা গেছে, বারির শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে তিনবছরের বেশি সময় সকল দফতরে কর্মরত অনিয়মিত ও অফিস মাস্টাররোলের শ্রমিকদের নিয়মিতকরণ, চাকরিতে থাকা অবস্থায় কোনো শ্রমিক মৃত্যুবরণ করলে তাদের পরিবার থেকে যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগ, অতিরিক্ত কাজের মজুরি ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান, কারণে অকারণে শ্রমিকদের অন্য জায়গায় বদলি বন্ধ করাসহ পাঁচ দফা মেনে নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালে বারির শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। তারা নাস্তার বিরতির পর সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সদর দফতরের সামনে অবস্থান নেয়।

এ সময় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএআরআই শ্রমিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রফিজ উদ্দিন, বিএআরআই শ্রমিক ক্লাবের সভাপতি মো: আমির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আলম এবং সমিতির সহ-সম্পাদক হাসান উদ্দিন প্রমুখ। পরে মহাপরিচালক বরাবরে একটি স্মারক লিপি দেন তারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দাবি মেনে নেয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে বৃহৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে।

শ্রমিক নেতারা জানায়, ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) প্রায় দু’হাজার ৬০০ জন নিয়মিত, অনিয়মিত ও অফিস মাস্টাররোলের শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই অনিয়মিত ও অফিস মাস্টাররোলের শ্রমিক। তারা সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না। এসব অনিয়মিত ও অফিস মাস্টাররোলের শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিক রয়েছেন যারা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করছেন। কিন্তু এখনো নিয়মিতকরণ করা হয়নি। অথচ কোনো শ্রমিকের কর্মকাল ৭২০ দিন বা তার অধিক হলে তাকে নিয়মিত করার নিয়ম রয়েছে। এছাড়া অনিয়মিত ও অফিস মাস্টাররোলের শ্রমিকরা আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলেও তাদেরকে অতিরিক্ত কাজের মজুরি দেয়া হচ্ছে না। কারণে অকারণে শ্রমিকদের বদলি করে হয়রানি করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে শ্রমিকদের এসব ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

তারা আরো জানায়, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে আমরা নিয়মিত/অনিয়নিত/অফিস মাষ্টাররোল শ্রমিক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দক্ষতার সাথে কৃষি সমৃদ্ধি স্বনির্ভর দেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করে আসছি। গবেষণার কাজে শ্রমিকের ভূমিকা কম নয়। আমাদের এই মধ্যম আয়ের দেশে হরতাল, অবরোধসহ বিভিন্ন দুর্যোগ উপেক্ষা করে স্বল্প মজুরিতে কাজ করে আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ অবস্থায় জীবন-যাপন করছি। দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করতে গিয়ে বিজ্ঞানীদের ডাকে গবেষণার স্বার্থে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসছি। অথচ দুঃখের বিষয় ১৭-এর নীতিমালা অনুযায়ী শ্রমিকদের নিয়মিত করা হচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement
আন্দোলনরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ছাত্রদলের নিন্দা ফের ইউরোপের মাঠে ফিরতে যাচ্ছে মেসি! জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় সম্মেলন বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাথে আপসের কোনো সুযোগ নেই : প্রেস সচিব গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হামাস-ইসরাইল আমদানি খরচ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা খসড়া তালিকায় আল আমিন-জীবনরা এনআইডি সেবা হাতে রাখতে প্রধান উপদেষ্টা ও তিন মন্ত্রণালয়কে ইসির চিঠি বিশ্বকাপ খো খো : কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অগ্নি-প্রতিরোধ মহড়া ১৯ জানুয়ারি পাটগ্রামে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় মদের বোতল দিল বিএসএফ

সকল