কালিয়াকৈরে স্কুলশিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে
- কালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা
- ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৫৩
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চন্দ্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি হাই স্কুলের ভেতরে ঢুকে বশির উদ্দীন নামে এক শিক্ষককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা রাশেদুল ইসলাম রনি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন যুবদলের অপর এক নেতা।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে চন্দ্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি হাই স্কুলের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
মারধর করা ওই শিক্ষক কালিয়াকৈর উপজেলার কালিয়াদহ এলাকার ইছাক উদ্দিনের ছেলে। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম রনির নেতৃত্বে প্রকাশ্য দিবালোকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আর ওই শিক্ষককে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ও আটাবহ ইউনিয়ন যুবদলের নেতা রেজভী আহম্মেদ রাজীব।
এলাকাবাসী, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও আহত শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ই আগস্ট কিছু লোক কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি হাই স্কুলে গিয়ে নানা অভিযোগ তুলে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ বশির উদ্দিনকে পদত্যাগপত্রে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করায়। ওই সময় তারা তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে স্কুল থেকে তাকে বের করে দেয়। পরের দিন ১৫ আগস্ট ওই শিক্ষক কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ১৮ আগস্ট স্কুলে যান ওই শিক্ষক।
এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি হলে তদন্ত প্রতিবেদন ওই শিক্ষকের পক্ষে যায়। ওই প্রতিবেদনে বাদিপক্ষ সন্তুষ্ট না হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পুনঃতদন্তের জন্য আবেদন করেন। এরপর গত ১ জানুয়ারি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে প্রধান করে অপর একটি পুনঃতদন্ত কমিটি করা হয় এবং তদন্ত চলমান অবস্থায় রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যুবদল নেতা রাশেদুল ইসলাম রনির নেতৃত্বে কয়েকজন লোক ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে ঢুকে।
পরে তারা ওই সহকারী শিক্ষককে টেনেহিচঁড়ে বাইরে বের করে এবং রড, লাঠিসোঁটা দিয়ে মারপিট করে। এসময় ওই শিক্ষকের সাবেক ছাত্র ও যুবদল নেতা রাজীব তার শিক্ষককে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মারধর করে হামলাকারীরা। পরে আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার দাস জানান, ওই শিক্ষকের বিষয়ে তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় তার ওপর হামলার ঘটনাটি দুঃখজনক। ওরা আমাকেও বকাঝকা ও হুমকি দিয়েছে। আমিও আতঙ্কে আছি। তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর মোল্লা জানান, ওই বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু এর আগেও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা শুনেছি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ জানান, বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা