বুয়েটশিক্ষার্থী মুহতাসিম নিহত : রিমান্ডে ৩ আসামি
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
- ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:১৫, আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:২১
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে প্রাইভেটকারচাপায় বুয়েটশিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার তিন আসামির দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর মহসিনের আদালত এ আদেশ দেন।
এছাড়া তিন আসামির ডোপ টেস্ট করানো হলে দু’জনের আসে পজিটিভ, পরে মাদকদ্রব্য আইনে আরেকটি মামলা করে পুলিশ।
এর আগে সকাল ১০টায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে তিন আসামি প্রাইভেটকারচালক মুবিন আল মামুন, তার দু’বন্ধু মিরাজুল করিম ও আসিফ চৌধুরীকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
শুনানি শেষে আদালত তাদের সবাইকে দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকসহ দায়ের করা দু’টি মামলার মধ্যে সড়ক পরিবহন আইনের মামলায় রিমান্ড শুনানি হয়েছে। আদালত এই মামলায় তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এদিকে ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে সকাল থেকেই জেলা আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী করেন নিহতের সহপাঠীরা। পূর্বাচলের ঘটনা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন তারা।
নিহত মুহতাসিম মাসুদের ফুফা জাকির হোসেন বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা। ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে দুর্ঘটনা বলে চালানো হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করছি।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই এই ঘটনার যেন সুষ্ঠু তদন্ত হয়। আমরা আশা করছি, আদালত ন্যায়বিচার করবে।’
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বুয়েটের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ তার দু’সহপাঠীকে নিয়ে ৩০০ ফুট সড়কের পূর্বাচল এলাকা থেকে খাবার খেয়ে মোটরসাইকেলে করে ঢাকায় ফিরছিলেন। পুলিশের চেক পোস্ট অতিক্রম করার সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের গতিরোধ করে।
এ সময় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি প্রাইভেটকার চেকপোস্টের ব্যারিকেড ভেঙে তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মুনতাসির মাসুদের। গুরুতর আহত হন তার দু’সহপাঠী অমিত সাহা এবং মেহেদি হাসান খানসহ দু’পুলিশ সদস্য।
পুলিশ প্রাইভেটকারচালক মুবিন আল মামুন ও তার দু’বন্ধু মিরাজুল করিম ও আসিফ চৌধুরীকে বিদেশী মদের বোতলসহ গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মাসুদ মিয়া সড়ক পরিবহন আইনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
গ্রেফতাররা মদ্যপ অবস্থায় ছিলো কিনা তা যাচাইয়ে ডোপ টেস্ট করতে শুক্রবার দুপুরে তাদের তিনজনকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। ডোপ টেস্টে প্রাইভেটকারচালক মুবিল আল মামুন ও মিরাজুল করিমের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে আসিফ চৌধুরীর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
পরে শনিবার বিকেলে রূপগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মেহেদী হাসান বাদি হয়ে মাদকসেবন ও বহনের অপরাধে মুবিল আল মামুন ও মিরাজুলকে এবং মাদকদ্রব্য সরবরাহে সহায়তার অভিযোগে আসিফ চৌধুরীকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা