চাঁদাবাজির অভিযোগে মাধবদীর ওসি তছলিমের স্ট্যান্ড রিলিজ
- মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা
- ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১০
চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তছলিম উদ্দীনকে যোগদানের ৮১ দিন পরেই স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার এক পরিদর্শক বলেন, ওসি তছলিম উদ্দীন এই থানায় যোগদানের পর বিগত সরকারি দলের একজন স্থানীয় নেতার পক্ষ নিয়ে কাজ করতেন। অপরদিকে বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন।
তিনি এখানে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এই নিয়ে থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। তবে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়গুলো জানার জন্য যোগাযোগ করলেও ওসিকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি গত ১১ সেপ্টেম্বর থানায় যোগদান করেছিলেন।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির দোকান, ইট বহন করার গাড়ি, অবৈধ ইট খোলা, পলিথিনের দোকান ও মাদক কারবারিদের থেকে মাসিক চাঁদা আদায়ের অভিযোগে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো: আব্দুল হান্নান তাকে পুলিশ লাইনে বদলি করেন।
এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় তার লোক তৈরি করে নানান অপকর্ম করার সুযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে ওসি তছলিমের বিরুদ্ধে। তার সন্তানকে ল্যাপটপ কেনার কথা বলে মাধবদীর অনেক ব্যসায়ীদের নিকট টাকার নেয়ার অভিযোগও রয়েছেন। ওসি তছলিম আসার পর মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে মাধবদী। সেই সাথে তিনি যোগদানের আগে আবাসিক হোটেলগুলো দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল। তিনি নতুন করে পতিতাবৃত্তি ও মাদকের আড্ডা পুনরায় চালু করেন। এ সকল ঘটনাসহ আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে মাধবদীতে। হত্যা মামলার আসামিদেরকে নিয়ে বিভিন্ন সময় খোশগল্প করতেও দেখা গেছে তাকে।
ওসি তদন্ত প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অফিস আদেশে তাকে এখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আদেশের সাথে সাথেই নরসিংদী পুলিশে লাইনে যোগদান করবেন তিনি।
রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে নরসিংদী সদর সার্কেল আনোয়ার হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তথ্যটা নেন। ঠিক কী কারণে প্রত্যাহার হয়েছেন তা আমাদের জানা নেই।
এই ওসি তছলিম উদ্দীন অপকর্মের কারণে দুই তিন মাসের বেশি কোনো থানায় বা ফাঁড়িতে থাকতে পারেননি। তিনি এই থানায় আসার পূর্বে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ওসি তদন্ত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সময় ওই থানায় প্রায় শতাধিক ছাত্র-জনতা হতাহত হয়। ‘তখন তার ভূমিকা কী ছিল?’ -এলাকাবাসীর মুখে মুখে সেই প্রশ্ন?
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা