ঐক্যবদ্ধ না থাকলে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিবে : সেলিম উদ্দিন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৫০
ঐক্যবদ্ধ না থাকলে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিবে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণমানুষের মুক্তির জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় নবাব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা পূর্ব থানা আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় থানা আমির মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হামিদুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক জামাল উদ্দিন।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন উত্তরা পশ্চিম জোন সহকারী মাহবুবুল হক, উত্তরা পশ্চিম থানা আমির মাজহারুল ইসলাম, তুরাগ দক্ষিণের আমির মাহবুবুর রহমান, তুরাগ মধ্য থানা আমির গাজী মনির হোসাইন, তুরাগ মধ্য থানা নায়েবে আমির কামরুল হাসান, উত্তরা পশ্চিম থানা সেক্রেটারি ফিরোজ আলম ও তুরাগ দক্ষিণ থানা সেক্রেটারি আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘দুনিয়া হলো ক্ষণস্থায়ী আর আখেরাত হলো চিরস্থায়ী ঠিকানা। আমরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য পৃথিবীতে এসেছি। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। পবিত্র আল কুরআনের সুরা আল-মুলকে বলা হয়েছে, ‘আমি জীবন ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছি এজন্য যে, কে সবচেয়ে বেশী নেক আমল করে তা পরীক্ষা করার জন্য। আর যারা হেদায়েতের ওপর রয়েছেন তাদের কোন দুঃশ্চিন্তা নেই। সে হেদায়েত হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল কুরআন।’
তিনি বলেন, ‘কোনো মুমিনের পক্ষে দুনিয়াতে স্বেচ্ছাচারি হওয়ার সুযোগ নেই বরং আখেরাতের জন্য পাথেয় সংগ্রহ করা মুমিনের কাজ। আর ইসলাম হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও পরকালে মুক্তির জন্য সকলকে ইসলামের ছায়াতলেই আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে। মানবরচিত কোনো আদর্শ বা মতবাদ মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়। জামায়াত দেশকে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। তিনি সেই স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ময়দানে আপসহীন থাকার আহ্বান জানান।’
তিনি আরো বলেন, ‘দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালানো প্রত্যেক নবী-রাসূলের ওপর ফরজ ছিল। সর্বশেষ বিশ্বনবী সা: এ দায়িত্ব নিয়েই দুনিয়াতে এসেছিলেন। আসহাবে রাসূলরা এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে গেছেন। তার ধারাবাহিকতায় সে দায়িত্ব আমাদের ওপর। দ্বীনের দাওয়াত দিতে নবী-রাসূলরাও জুলুম-নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাননি। তাই সকল প্রকার বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই ইসলামের দাওয়াত প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ গড়তে হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা