‘আ’লীগের দোসর চুন্নুকে কিশোরগঞ্জের মানুষ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে’

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর, তাদেরও বিচার হবে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশের মানুষ তাদের রাজনীতি করতে দেবে না। মজিবুল হক চুন্নুর মতো ফ্যাসিবাদের দোসরকে কিশোরগঞ্জের মানুষ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে।’

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়ক সংস্কার ও কিশোরগঞ্জ ঢাকা রোডে বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টায় কিশোরগঞ্জ শহরে পুরানথানার ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তৃতায় আবু হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিশোরগঞ্জের ইতিবাচক অবদান রয়েছে। কিশোরগঞ্জের বেশির ভাগ রাজনীতিবিদ দেশ ও মানুষের পক্ষে। কিন্তু কিশোরগঞ্জের একজন, যিনি ফ্যাসিবাদের দোসর, আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, যিনি আওয়ামী লীগের আমলে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন, তিনি হলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু। ওই চুন্নু অবৈধভাবে টাকা কামিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন। দুদকের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে তার সম্পদের হিসাব নিন। মজিবুল হক চুন্নুর মতো ফ্যাসিবাদের দোসরকে কিশোরগঞ্জের মানুষ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে। তার মতো করাপটেড লোক কিশোরগঞ্জে আর রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না। শুধু আওয়ামী লীগের না, তাদের দোসরদেরও বিচার হবে। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর, তাদেরও বিচার হবে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশের মানুষ তাদের রাজনীতি করতে দেবে না।’

তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব সড়ক যেন একটা মরণফাঁদ। এখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। বিগত সরকারের সময় যে বাজেট হতো তার ৭০ শতাংশ ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাগবাটোয়ার করে পকেটে ভরতো। ফলে রাস্তার উন্নয়নে তেমন বাজেট থাকতো না। আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়ক যেন সংস্কার করা হয়।’

‘এছাড়াও কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই বাজে। ভালো কোনো পরিবহন নেই। যেসব পরিবহন রয়েছে, সেগুলোও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া হওয়ার কথা ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। কিন্তু ভাড়া নিচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা করে। এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে মালিক সমিতি। এর আগে সেখানে থেকে ভাগ নিতো আওয়ামী লীগের নেতারা। আমরা শুনেছি এখন সেখান থেকে অন্য একটা দলের নেতারা চাঁদা নিচ্ছে। এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, এই রুটের ভাড়া দ্রুত কমাতে হবে।’

মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন কিশোরগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, অভি চৌধুরী, পাকুন্দিয়া উপজেলা আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, বাজিতপুর উপজেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফজল মোল্লা, সদর উপজেলার আহ্বায়ক মোমেনউদ্দীন জনি, ছাত্রনেতা ইমন খান, পায়েল চৌধুরী প্রমুখ।