০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১,
`

মুন্সীগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেফতার ৭

- ছবি : নয়া দিগন্ত

মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-দোহার সড়কে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মালামাল ও সাত লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৪ নভেম্বর) মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার।

গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন কেরানীগঞ্জের পূর্ব চরাইল এলাকার মরহুম ইমরান হোসেনের ছেলে রনি (৪৮), ওয়ারী থানার নবাবুর এলাকার মরহুম ইবরাবুল হাসানের ছেলে সিরাজুল হাসান জাবেদ ওরফে রানা (৪২), কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা উত্তর পাড়া এলাকার মরহুম বাবুর ছেলে শামিম (৪২), সূত্রাপুর থানার নাসিরউদ্দিন সরদার লেন এলাকার মরহুম মজিবরের ছেলে সায়মন (৩২), টাঙ্গাইলের তেবাড়ীয়া সলিমাবাদ এলাকার ময়নালের ছেলে মমিন (৪২), মাদারীপুরের পাঁচখোলা এলাকার মো: মোতাহারের ছেলে সুজন (৩০), কোতয়ালী থানার চরমাদুপদা এলাকার মরহুম আলীউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে সমির হোসেন (৪২)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ‘নবাবগঞ্জ থানার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রামপ্রসাদ হালদার গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় স্বর্ণ বিক্রি শেষে নগদ ৪৭ লাখ টাকা ও অবিক্রিত তিন ভরি স্বর্ণসহ ঢাকা থেকে নবাবগঞ্জ থানার বান্দুরা বাজারের উদ্দেশে আসছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ঢাকা-দোহার মহাসড়কের মরিচা কাউন্টার এলাকায় পৌঁছালে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধর করে নগদ ৪৭ লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ হাবিবুর রহমান নামের একজন ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে ঘটনার দিন সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রামপ্রসাদ হালদার। মামলার পর থেকে পুলিশ অভিযানে নামে। রোববার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ডাকাতদলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার এবং নগদ সাত লাখ টাকা ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।’

পুলিশ জানায়, গ্রেফতার হওয়া ডাকাত সদস্য রনির বিরুদ্ধে তিনটি, সিরাজুল হাসান জাবেদ ওরফে রানার বিরুদ্ধে সাতটি, সায়মনের বিরুদ্ধে চারটি ও সুজনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ডাকাতরা আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য এবং বিভিন্ন সময় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement