০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

সাভার থানার এসআই রাজীব পুলিশ লাইনে ক্লোজড

ক্লোজড হওয়া এসআই রাজিব শিকদার - ছবি : নয়া দিগন্ত

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব শিকদারকে সাধারণ মানুষকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে সাভার থানার (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া রাজিব শিকদারকে ক্লোজড করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের রাজ্জাক কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী ইসরাফিল হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ ইসরাফিলের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাকে আদালতে মামলার পরামর্শ দেন রাজীব সিকদার। রাজীব সিকদার বলেন, মামলা করলে সরকারের খাতায় একটি রেকর্ড থাকবে। আপনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পাবেন। পরে তিনি তাকে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নিয়ে যান। সেখানে দেড় শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মনগড়া মামলা সাজিয়ে তাকে স্বাক্ষর করতে বলেন। পরে কৌশলে ইসরাফিল আদালত থেকে বের হয়ে যান। এরপর তাকে টেলিফোনে মামলার বাদি হলে মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখান রাজীব।

সম্প্রতি গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী ইসরাফিল হোসেনের সাথে রাজীব শিকদারের একটি ফোন আলাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে মামলা করতে অনিচ্ছুক ইসরাফিলকে তিনি বলেন, আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গেছে। মামলা করলেই আপনি টাকা পাবেন। তখন ইসরাফিল বলেন, যাদের আসামি করা হয়েছে আমি তো তাদের কাউকে চিনি না। আর আমাকে গুলি করেছে পুলিশ। আমি কেনো নিরীহ মানুষের নামে মামলা করব। ইসরাফিল হোসেনের কথার জবাবে রাজীবকে বলতে শোনা যায়, আরে কোনো সমস্যা নেই। কোর্টে যাবেন। আসামি ধরে ধরে এফিডেভিট করে আপনি বলবেন ভুল করে আসামি দেয়া হয়েছে। প্রতিটা আসামির কাছ থেকে এক লাখ টাকা করেও পাবেন।

এদিকে একটি সূত্র জানায়, ‘সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব সিকদারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একেরপর এক গায়েবি মামলায় বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ রয়েছে। ওই পুরানো ধারায় মামলার গণ-আসামি করে অর্থ বাণিজ্যে নামেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।’


আরো সংবাদ



premium cement