রূপগঞ্জে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই মারা গেছে
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
- ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:০৬
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেছেন। সর্বশেষ শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মোসা: শেলী আক্তার (৩৫) নামে একজনের।
এর আগে এ ঘটনায় তার তিন সন্তান ও স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচজনে। নিহতরা স্থানীয় পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শেলী আক্তারের। এর আগে ২৬ অক্টোবর রাতে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালটিতে একই পরিবারের ছয়জন ভর্তি হয়। দগ্ধ বাবুল ৬৬ শতাংশ, শেলী ৩০ শতাংশ, মুন্নি ২০ শতাংশ ও তাসলিমা ৬৩ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে ভর্তির করা হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা: তরিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে মোসা: শেলী আক্তার মারা যান। এর আগে তার দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শেলীর শরীরে ৩০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই ঘটনায় তার আরেক মেয়ে মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
নিহত শেলী আক্তারের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। বর্তমানে রূপগঞ্জ এলাকায় স্বামীর সাথে থাকতেন।
নিহতদের স্বজনরা বলেন, সবাই রূপগঞ্জের ফকিরা গার্মেন্টসে কাজ করতো। একই রুমে বসবাস করত তারা সবাই। কাজ শেষে বাসায় ফিরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় সকলেই।
লাইনের গ্যাস লিকেজ হয়ে ওই ঘরে আগেই গ্যাস জমে ছিল। মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে ছয়জনই দগ্ধ হলে তাদের দ্রুত শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নিয়ে আনা হয়। এরপরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরের দিকে শেলীর দুই ছেলে সোহেল ও ইসমাইলের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো: ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি শাহবাগ থানাকে জানানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা