১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১২ রজব ১৪৪৬
`

বন্দরে নৈশ প্রহরীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

বন্দরে নৈশ প্রহরীর লাশ উদ্ধার - ছবি : নয়া দিগন্ত

বন্দরে অটোরিকশা চুরির ঘটনায় নৈশ প্রহরী সিরাজুল ইসলামকে (৬৫) নির্যাতনের পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে গ্যারেজ মালিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

রোববার ভোরে সিরাজুল ইসলামের লাশ গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সিরাজুল ইসলাম আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের।

নিহত সিরাজুল ইসলাম বন্দরের মুছাপুর গ্রামের মরহুম নুরুল ইসলামের ছেলে।

জানা যায়, বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের জহরপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের মালিকানাধীন অটোরিকশা গ্যারেজে নৈশ প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন সিরাজুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার রাতে কৌশলে গ্যারেজ থেকে ছয়টি অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যান একদল চোর। এ ঘটনার জের ধরে নাইট গার্ড সিরাজুলকে তিন দিন যাবৎ গ্যারেজে আটকে রেখে নির্যাতন চালান গ্যারেজ মালিক আক্তার ও চুরি হওয়া ছয় অটোরিকশার চালক। নির্যাতনের পর শনিবার রাত আড়াইটার দিকে নাইট গার্ড সিরাজুল ইসলাম ইন্তেকাল করেন। রোববার সকালে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের ছেলে ইউসুফ ও মেয়ে শিল্পী জানান, অটোরিকশা চুরির পর দিন শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। গ্যারেজ মালিক আক্তার ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জু মেম্বার বিচারের কথা বলে তার বাবাকে গ্যারেজে রেখে দেন। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে বাবা আমাদের সাথে কথা বলবেন বলে গ্যারেজ মালিক আক্তার বাড়িতে খবর পাঠান। পরে গিয়ে দেখি বাবার লাশ গ্যারেজের ভেতরে পড়ে আছে।

বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে বন্দর থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ শনিবার বিকেলে ঘটনা তদন্তে গ্যারেজে যায়। এ সময় সিরাজ মিয়ার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত শেষ করে পুলিশ চলে আসে।

তিনি বলেন, সম্ভবত চুরির অপবাদ সইতে না পেরে নৈশ প্রহরী সিরাজ গ্যারেজের আড়ার সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।


আরো সংবাদ



premium cement