২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

বাবাকে হত্যার পর টয়লেটের কুয়োয় রাখল লাশ

বাবাকে হত্যার পর টয়লেটের কুয়োয় রাখল লাশ - নয়া দিগন্ত

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বৃদ্ধ বাবাকে নির্মমভাবে হত্যার পর লাশ টয়লেটের কুয়োয় রাখে পাষণ্ড ছেলে। নিখোঁজের তিন দিন পর (২৪ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের মঙ্গলহোড় গ্রাম থেকে ওই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা গেছে, শামসুলমিয়া (৭৫) পেশায় একজন দলিল লেখক ছিলেন। বাবাকে হত্যার পর ছেলে সাত্তার মিয়াও (৪০) বাড়ি থেকে পালিয়ে ছিলেন। পরে স্থানীয়রা সাত্তারকে ফোনে বাড়ি ডেকে এনে আটক করার পর তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে লাশটির সন্ধান মেলে।

শামসুলমিয়ার ভাতিজা লেবু মিয়া জানান, আমার চাচা শামসুল মিয়া বৃদ্ধ মানুষ। তিনি দলিল লেখক ছিলেন। আমার চাচাকে শনিবার থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। একমাত্র চাচাতো ভাই সাত্তারও উধাও ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর চাচাকে না পেয়ে আমরা সোমবার দেলদুয়ার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করে। রাতে সাত্তারের ফোন খোলা পেয়ে আমরা সাত্তারকে বাড়ি আসতে বলি। রাতে বাড়ি এলে স্থানীয়রা সাত্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে নিজেদের টয়লেটের কুয়ার ভেতরে উল্টো করে রাখা আমার চাচার লাশ পাওয়া যায়।

হত্যার অভিযুক্ত ছেলে সাত্তার মিয়া বলেন, আমার বাবা আমার পরিবারকে আলাদা করে দেন। টাকা-পয়সা দেন না। আমি ঠিকমতো সংসার চালাতে পারি না। শনিবার রাত ২টার সময় আমার ক্ষুধা লাগলে আমি তার ঘরে যাই। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করে ঘরে কেন এছেছিস? কথা প্রসঙ্গে তর্কাতর্কি হলে আমি তার ওপরে উঠে বসি এবং হাত দিয়ে গলা চেপে ধরি। পরে একটি উড়না দিয়ে গলা বেঁধে ফেলি। মৃত্যু নিশ্চিত হলে টয়লেটের কুয়োর মধ্যে লাশটি রেখে আমি পালিয়ে যাই।

দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেব খান বলেন, আমরা লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত সাত্তারকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement