২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

লাল সুহানরা জাতীয় উদ্যানের কথা

-

বলছি, লাল সুহানরা জাতীয় উদ্যান পাকিস্তানের বিখ্যাত সংরক্ষিত এলাকা। জানো, এটি একটি জীবমণ্ডল সংরক্ষণ এলাকা; একটি অভয়ারণ্য। এখানে আছে বিভিন্ন স্তন্যপায়ী, পাখি ও সরীসৃপ।
এক সময় চলিস্তান মরুভূমির কৃষ্ণহরিণ (ছোট হরিণ) প্রায় লুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল। লাল সুহানরা জাতীয় উদ্যান প্রতিষ্ঠিত করা হলে এখানকার বিস্তৃৃত এলাকায় বেড়া দিয়ে এ হরিণ ছাড়া হয় এবং এর সাথে ছাড়া হয় গজলা হরিণ, নীলগাই (হরিণবিশেষ), হগ ডিয়ার (এক প্রকার ছোট হরিণ) ও ইন্ডিয়ান গণ্ডার।
উদ্যানের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পাতিসার হ্রদ একটি আদর্শ পাখি পর্যবেক্ষণ স্থান। বড় এ হ্রদে মধ্য শীতকালে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার পাতিহাঁস ও কুটপাখি (কালো মাথার পাখি) দেখা যায়। এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন জলচর পাখি। অনেক শিকারি পাখিও দেখা যায় এখানে।
ছোট আকৃতির হরিণ ও নীলগাই উদ্যানের এ অংশে সাধারণ প্রাণী।
শিয়াল, খেঁকশিয়াল, খরগোশ, সজারু, বেজি, ভরতপাখি, পেঁচা ইত্যাদিও দেখা যায় লাল সুহানরা জাতীয় উদ্যানে। কাছের বনে রয়েছে অনেক বন্য ভালুক। ভ্রমণকারীদের এ জন্তু থেকে সাবধান থাকতে হয়।
এ উদ্যানে অন্যান্য স্তন্যপায়ীর সাথে লাল খেঁকশিয়াল, সোনালি শিয়াল, জংলি বিড়াল, ইন্ডিয়ান নেকড়ে, মধু বাজার, ছোট গন্ধগোকুল, উদ্বিড়াল ইত্যাদিও রয়েছে।
হাউবারা বাস্টার্ড, প্রাচীন শকুন, বাজ, হোয়েটিয়ার (গানের পাখিবিশেষ) ইত্যাদি পাখির সাথে পরিযায়ী পাখিরও দেখা মেলে এখানে।
সাপ, টিকটিকি ইত্যাদি সরীসৃপ রয়েছে এ উদ্যানে।
১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ জাতীয় উদ্যানে পাকিস্তান পর্যটন উন্নয়ন সংস্থার ৬ শয্যাবিশিষ্ট একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রিসোর্ট রয়েছে। প্রতি বছর অনেক পর্যটক উদ্যানে আসে।
প্রতিষ্ঠাকালে উদ্যানটির আয়তন ছিল ৩১ হাজার ৩৫৫ হেক্টর। এর মধ্যে ২০ হাজার ৯৩২ হেক্টর মরুভূমি, ৮ হাজার ৪৮৮ হেক্টর সৃজিত বনভূমি (রৎৎরমধঃরড়হ ভড়ৎবংঃ ঢ়ষধহঃধঃরড়হ) ও ১ হাজার ৯৩৪ হেক্টর জলাধার ছিল।
পরবর্তীকালে উদ্যানটির আয়তন বাড়ানো হয়েছে ২২ হাজার ৬৮০ হেক্টর। হাকরা নদীর শুষ্ক গতিপথ এবং পাতিসার হ্রদ উদ্যানটিকে করেছে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।


আরো সংবাদ



premium cement