চমচম
- মৃত্যুঞ্জয় রায়
- ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০৫
বলছি চমচমের কথা। টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ি চমচম খুবই বিখ্যাত। ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পোড়াবাড়ি চমচমের শুরু। ভারতের উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার রাজা রাম গোরের উৎসাহে চমচমকে করা হয় আরো মনোহর ও সুস্বাদু। এরপর তার নাতি মতিলাল গোর চমচমের আরো আধুনিকায়ন করেন। রসগোল্লা বা লেডিকেনির চেয়ে এ মিষ্টির ঘনত্ব বেশি, একটু শুকনা ও শক্ত। রসগোল্লার মতো রসে ভেজা ও নরম নয়, আকারেও গোল নয়- ডিম্বাকার, কিছুটা লম্বাটে। রসগোল্লার চেয়ে বেশি দিন এটা ভালো থাকে। রঙ বাদামি থেকে গাঢ় বাদামি। তবে ঘিয়া রঙের চমচমও আছে। মাওয়ার গুঁড়া বা দুধ জ্বাল দিয়ে শুকিয়ে গুঁড়া করে সেই গুঁড়া চমচমের উপর ছিটিয়ে দেয়া হয়। এতে চমচমের চেহারা ও স্বাদ ভালো হয়। এটাই যেন পোড়াবাড়ি চমচমের বিশেষত্ব। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের খ্যাতি আম আর চমচমের জন্য। বিশেষ করে ওখানকার ময়রারা যত বড় আকারের চমচম তৈরি করতে পারেন তত বড় চমচম এ দেশের আর কোথাও দেখা যায় না।
বেশ কয়েক রকমের চমচম এ দেশে দেখা যায়। আদিতে যে সাধারণ চমচম তৈরি করা হয়েছিল এখন তার বেশ আধুনিকায়ন ঘটেছে। সাধারণ চমচম একটু শক্ত, সাদা থেকে ঘিয়া রঙের, কম রসাল, বেশি মিষ্টি। ক্ষীর চমচমের উপরে ক্ষীরের প্রলেপ থাকে বা ক্ষীরের গুঁড়া মাখানো থাকে। ‘ক্ষীর চমচম’, ‘মৌচাক চমচম’, ‘পোড়া চমচম’, ‘শিব চমচম’, ‘ছোট চমচম’, ‘বড় চমচম’, ‘রাজ চমচম’ ইত্যাদি বিভিন্ন নামের চমচম এ দেশে দেখা যায়। মৌচাক চমচমের ভেতরটা মৌচাকের মতো ছিদ্রযুক্ত ও তার ভেতরে মধুর মতো রস থাকে। টাঙ্গাইলে এ ধরনের চমচম পাওয়া যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা