২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জেবালা মানুষ

-

জেবালা একটি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী। এদের বসবাস উত্তর-পশ্চিম মরক্কোয়। এরা আদিতে ছিল বার্বার (উত্তর আফ্রিকার আদিবাসীবিশেষ)। ১২ শতকে এরা ফেস, উত্তর আফ্রিকা ও আল-আন্দালুসের (স্পেন) আরবিভাষী প্রতিবেশীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আরবি ভাষা গ্রহণ করে। উদ্ভব হয় একটি নতুন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর।
জেবালারা যে আরবি ভাষায় কথা বলে, তাকে একটি আরবি উপভাষা বলা যায়। এ উপভাষায় প্রতিবেশী বার্বার ও স্প্যানিশ ভাষার প্রভাব দেখা যায়। স্পেনে মুসলিম শাসনের অবসানের পরে একসময় স্পেন জেবালা এলাকা দখল করে। আর এ দখলদারিত্ব বেশ কিছু বছর স্থায়ী হয়। এ কারণেই অনেক স্প্যানিশ শব্দ জেবালাদের আরবি ভাষায় প্রবেশ করে। জেবালা নারীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক মেন্ডিল (এক ধরনের শাল বা চাদর), যা তৈরি করা হয় তুলা বা পশম থেকে। আয়তাকার এই মেন্ডিলে সাধারণত সাদা ও লাল রঙের ডোরাকাটা থাকে। এটি কোমরে জড়িয়ে পরা হয়, যা দেখতে লাগে ঘাগরার (স্কার্ট) মতো।
জেবালা পুরুষের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম ডিজেবাল্লা। এটি এক ধরনের আলখাল্লা, যাতে শিরোবস্ত্র থাকে। ডিজেবাল্লা তৈরি করা হয় তুলা বা পশম ব্যবহার করে। পশমি জেবাল্লা রঙ করা হয় না। দেখতে এগুলো প্রকৃতিগত ঘন বাদামি বা সাদাটে রঙের হয়। নল-খাগড়ার টুপি জেবালা নারী-পুরুষের আর একটি ঐতিহ্য।
জেবালারা চামড়ায় পায়ের আঙুলের ফোঁটাযুক্ত চটিজুতা বা চপ্পল পরতে পছন্দ করে। এগুলো সাধারণত প্রাকৃতিক হালকা বাদামি, হলুদ ও সাদা রঙের হয়ে থাকে।
জেবালা শব্দটি এসেছে আরবি জেবেল থেকে, যার অর্থ পর্বত। তার মানে জেবালারা পর্বত মানুষ। একজন জেবালা পুরুষ বা বালককে বলে জেবলি। আর একজন স্ত্রীলোক বা বালিকাকে বলে জেবলিয়া।


আরো সংবাদ



premium cement