রক্তবনে আবিদ-আসমান
- মোহাম্মদ আব্দুল্লা হেল বাকী
- ২৩ জুন ২০২৪, ০০:৩৭
পঁচিশ.
শাবকের মৃত্যুতে মা হাতিটা চিৎকার করে কাঁদছে। বিলাপ করছে। শুঁড়ে আওয়াজ তুলছে। অন্য হাতিরা মিলে মৃত শাবককে মাটিচাপা দিচ্ছে। অনেকটা মানুষের মতোই আচরণ। বিরল দৃশ্য। এ দৃশ্য দেখে সরফরাজ সাহেবের চোখে পানি এসে গেল। বললেন, ‘দুনিয়ার সব মা একই রকম। সন্তানের মৃত্যু মা’র মনে বর্ষা নামায়। সব প্রাণীর জন্য দুনিয়ার সবচেয়ে মূল্যবান উপহার তার মা। দুনিয়াতে নিখাদ ভালোবাসা শুধু মা’র কাছ থেকেই পাওয়া যায়।
আজকের দিনটা খুব সুন্দর। রৌদ্রোজ্জ¦ল। মনে হয় চারদিকে আমুদ ছড়ানো। কিন্তু, আবিদদের মনে একটু বিষাদের ছায়া। তাদের চলে যাওয়ার সময় হয়ে এলো। তার বাবা সেদিন ফোন করেছিলেন। তাদের বাসার টিচার চলে এসেছেন। তাড়াতাড়ি চলে যাওয়ার তাড়া। এদিকে গ্রামের পথ-ঘাট তাদের নাম জেনে গেছে। কোথাও গেলে নাম ধরে ডাকে। ভালোবাসার শিকলে জড়িয়েছে। চলে যাওয়ার সময় বারবার পেছন ফিরে তাকাতে ইচ্ছে করে। মুখ বেদনায় মলিন হয়। মনে করুণ রসের উদ্রেক হয়।
আসমান বলল,‘ এবার মনে হয় আমাদের আর ডাকাত ধরার সুযোগ হবে না। তবে আমরা হাল ছাড়ব না। লেগে থাকব। নীলয় এগিয়ে এল। বলল, ‘তোরা চলে যাবি। একটা মূল্যবান জিনিস যেন রেখে যেতে হয়। শত চেষ্টাতেও যেন নিতে না পারিস- সে ব্যবস্থা আমরা করব।’ (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা