২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মাছধরা নৌকা

-

জানো, মাছধরা নৌকা এখনো সগৌরবে এ দেশের ঐতিহ্য বয়ে চলেছে। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায়ই কমবেশি মাছধরা নৌকা দেখা যায়; তবে সমুদ্র উপকূলে বেশি দেখা যায়। মাছধরা নৌকা শাল বা সেগুন কাঠের তৈরি,অত্যন্ত মজবুত। এসব নৌকা গভীর সমুদ্র পর্যন্ত মাছ ধরতে জেলেরা নিয়ে যান। এগুলো মালবাহী নৌকার মতো নয়, তবে মালবাহী নৌকার খোলে যেমন পণ্য রাখার সুরক্ষিত কুঠুরি তৈরি করা হয়, মাছধরা নৌকাতেও তেমনি গলুইয়ে বা খোলে পাটাতন দিয়ে মাছ রাখার কুঠুরি তৈরি করা হয়। একটা বাক্সসদৃশ ঢাকনা থাকে যেটি সরিয়ে খোলে ওঠানামা করা ও মাছ রাখা যায়। পেছনের দিকে একটি ছইওয়ালা চৌকা ঘরের মতো থাকে। এ ঘরের ভেতরে জেলে ও মাঝি-মাল্লারা থাকেন, বিশ্রাম ও রান্না করেন। মাছধরা নৌকা ৬০ থেকে ৭০ ফুট লম্বা হয়। এ ধরনের একটি নৌকা নিয়ে জেলেরা বেশ কয়েক দিনের জন্য মাছ ধরতে সাগরে চলে যান। ধরা মাছ নৌকার খোলে বরফের বাক্সে মজুদ করেন। ফিরে এসে সেসব মাছ বিক্রি করেন। আগে মাছধরা নৌকা জেলেদের নিজেদের থাকলেও এখন তা ফিশিং কোম্পানির হাতে চলে গেছে। কেননা এখন একখানা মাছধরা নৌকা বানাতে অনেক টাকা লাগে। তাই ফিশিং কোম্পানি থেকে জেলেরা ছোট ছোট দলে এক একটা মাছধরা নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। মাছ ধরে ফিরে আসার পর কোম্পানি থেকে ধরা মাছের একটা অংশ তারা পান। কক্সবাজার, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পটুয়াখালী, বরগুনা, মনপুরা, সন্দ্বীপ বিভিন্ন এলাকায় এ নৌকার দেখা পাওয়া যায়। তবে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই নৌকায় এখন ইঞ্জিন যুক্ত হয়েছে। নামও বদলে গেছে। এখন এসব নৌকা ফিশিং ট্রলার বা মাছধরা ট্রলার নামেই বেশি পরিচিত। ছবি সংগ্রহ

 

 


আরো সংবাদ



premium cement