২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

বারো.

দুধসাদা জোছনায় সব পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। এমনকি শব্দও তারা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে। নীলয়ের তার মামার কথা মনে পড়ে গেল। তারা মামা বলেন, ‘ভূতরা সব সময় সাদা কাপড় পরে থাকে। কেননা চাঁদের আলো সাদা। ডালের ফাঁক দিয়ে জোছনার আলো পড়ে আমাদের দৃষ্টিভ্রম তৈরি করে। মনে হয় সাদা শাড়ি পরে মানুষ বসে আছে বা দাঁড়িয়ে আছে।’ কিন্তু আজকের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা সাদা শাড়ির কালো পাড় স্পষ্ট দেখেছে। তাছাড়া এতগুলো মানুষের একসাথে দৃষ্টিভ্রম হওয়ার কথা নয়। কিছুক্ষণ পর সব স্বাভাবিক হয়ে গেল। গাছে কিছু নেই। ডালে ডালে মায়াবী জোছনা ঝুলে আছে। তাদের সম্বিত ফিরল। এতক্ষণ তারা একটি ঘোরের মধ্যে ছিল। আবিদ বলল, ‘অনেক হয়েছে। আর একমুহূর্তও না। চল, সবাই চলে যাই। আগামী কাল সকালে আসব। মনে হয় আমরা কোনো অশরীরীর পাল্লায় পড়ে গেছি। সামনে বিপদ হতে পারে।’ কিন্তু আসমান এর মাঝেও একটার রোমাঞ্চ অনুভব করছে। তার যেতে ইচ্ছে করছে না।
সে বলল, আর একটু থাকি। দেখি কী হয়! এ কথা বলার সাথে সাথে আবিদ আর নীলয় কঁকিয়ে উঠল। তাদের দিকে তাকিয়ে আসমানও কঁকিয়ে ঊঠল। মনা আর কিছুতেই এখানে থাকবে না। বাড়ির দিকে দ্রুত হাঁটা দিলো। তাকে আবিদরাও অনুসরণ করল। বাড়িতে চলে আসল। বাড়িতে এসে খেয়াল হলো মনার গায়ে চাদর নেই।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement