রক্তবনে আবিদ-আসমান
- মোহাম্মদ আব্দুল্লা হেল বাকী
- ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০
ছয়.
নীলয়রা তাদের দাদুর সাথে পুরো ব্যাপারটা শেয়ার করল। তিনি মৃদু হাসলেন। বললেন, তোরাও দেখি আমার মতো হয়েছিস। তোদের বয়সে আমিও অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ছিলাম। সারাক্ষণ মাথায় এসব খেলা করত। রক্তবন খুব রহস্যময় জায়গা। সচরাচর দেখা যায় না,এরকম জিনিস ওখানে মাঝে মাঝেই দেখা যায়। আমি একবার ওখানে তিন নাকওয়ালা শুকর দেখেছিলাম। আর কত রঙ-বেরঙের পাখি যে দেখেছি! তাদের অধিকাংশেরই নাম জানি না। তোরা যে বনে মানুষের মতো কান্না শুনেছিস, ওসব টিয়ে পাখির কাণ্ড। টিয়ে পাখি অবিকল মানুষের মতো কাঁদতে পারে। তবে সাবধান! টিয়ে পাখি ধরার জন্য কখনো গাছের খোড়লে হাত দিসনে। টিয়ে পাখি হাত কামড়ে দেবে। তাছাড়া গাছের খোড়লে বিষধর সাপ থাকতে পারে। ওই বনের দক্ষিণ পাশে বেশ কয়বার সাপ-বেজির জমানো লড়াই দেখেছি। এক সময় রক্তবনে আমাদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। আমি, মুজিবর আর তোতা মিলে দিনে-দুপুরে মৌচাক কাটতাম। কলার খোলের ভেতর খড় নিয়ে-তাতে আগুন দিয়ে ধোঁয়ার ব্যবস্থা করতাম। মৌচাকের যে অংশটায় মধু থাকে সেখানে ধোঁয়া দিতাম। মৌমাছি একেবারে নিরীহ হয়ে যেত। তারপর হাত দিয়ে মৌমাছি সরিয়ে চাক কাটতাম। একটা মৌমাছিও আমাদের কামড় দিত না। এভাবে বহু চাক কেটেছি। একবার ভরদুপুরে চাক কাটতে গিয়ে দেখি বিশাল এক স্যুটকেস ঝোপের ভেতর পড়ে আছে।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা