রক্তবনে আবিদ-আসমান
- মোহাম্মদ আব্দুল্লা হেল বাকী
- ০৮ মে ২০২৪, ০০:০৫
এক.
কাকজোছনা রাত। চার দিকে ঝাপসা কুয়াশা। এর মাঝে আবিদ, আসমান আর নীলয়দের শখের পেয়ারা অভিযান; পারিবারিক বাগান থেকে রাতে মজা করে পেয়ারা খাওয়া।
নীলয় যখন বাগানের পাশ দিয়ে স্কুলে যায়-সবুজ পাতার আড়াল থেকে সবুজাভ ডাসা পেয়ারা ইশারায় ডাকে। নীলয় শুধু আড়চোখে তাকায়। হাত বাড়ায় না। অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে, আবিদ-আসমান কোন দিন আসবে। অবশেষে ওরা এসে গেছে। সবাই ঠিক করেছে, কোনো এক রাতে তারা বাগানে ঢুকবে। আজ সেই রাত।
আবিদ আর আসমান একটু ভীতু প্রকৃতির। তারা যমজ। যমজ হলেও ছয় মাসের ছোট-বড়। আবিদ বড়। আসমান ছোট। তার মা’র দুটি জরায়ু। দুই জরায়ুতে তাদের দুজনকে ধারণ করেছেন। তাদের জন্ম হয়েছে ছয় মাস আগে-পড়ে। এরকম ঘটনা বিরল। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘ইউটেরাস ডিডেলফিস।’ তাদের দুই ভাইয়ের স্বভাব চরিত্রও ভিন্ন। তারা শহুরে। পরিযায়ী পাখির মতো তারা প্রতি বছর পরীক্ষা শেষে গ্রামে বেড়াতে আসে। তাদের বাবা ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা। ভীষণ ব্যস্ত। তিনি তাদের সাথে গ্রামে থাকতে পারেন না। তিনি গ্রামে দিয়ে যান এবং নিয়ে যান। এই সময়টা তারা দু’ভাই খুব উপভোগ করে। তার দাদাও জীবিত আছেন। তিনিও চান তারা গ্রামে আসুক। গ্রামের প্রকৃতির সাথে মিশুক। প্রকৃতির বিশাল পাঠশালা থেকে পাঠ নিক।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা