রিশা রাফির দিনগুলো
- সারমিন ইসলাম রত্না
- ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫, আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫১
তেত্রিশ.
সাঁতার শেখার বিষয়টা ঠিক তেমনি।
রিশা, রাফিকে ভেজা অবস্থায় দেখে মা চেঁচিয়ে উঠলেন। তোমরা ভিজলে কী করে? রাফি বলল, আমরা নদীতে নেমেছিলাম। বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, তোমরা কোন সাহসে নদীতে নামলে? তোমরা কি সাঁতার জানো? রিশা ভয়ে ভয়ে বলল, সুমিতা আর সুমন আমাদের সাঁতার শিখিয়েছে। বাবা-মা একে অপরের দিকে তাকালেন। রিশা, রাফি দেখল বাবা-মায়ের চোখ থেকে যেন আগুন ঝরছে। বাবা-মা একটা সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু রিশা, রাফিকে সেই সিদ্ধান্ত জানানো হলো না।
রাফি মন খারাপ করে বসে আছে। এমন সময় রিশা এলো। ভাইয়া, আজ সুমন তোমাকে ডাকতে আসেনি? রাফি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, না। আমাকেও সুমিতা ডাকতে আসেনি। মা চেঁচামেচি করেছেন। ওরা শুনেছে। ওদেরও তো সম্মান আছে।
হঠাৎ দুই ভাই-বোন কোথা থেকে ছুটে এলো। ওদের পিঠে তিনটি খালি বস্তা। সুমন হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, ভাইয়া, আজ সকালে ব্যস্ত ছিলাম। তাই তোমাকে সাহায্য করতে পারিনি। সুমিতা বলল, আমার বিশেষ কাজ ছিল, পরে জানাব। রিশা, রাফি ওদের চোখের দিকে তাকাল। কত সরল ওরা। কত সরল ওদের মন। রাফি কৌতূহলী হয়ে বলল, তোদের পিঠে ঐ খালি বস্তা কিসের? সুমন রহস্যময় হাসি দিলো। সুমিতা হাত বাড়িয়ে বলল, জানতে হলে চলো আমাদের সঙ্গে। ওরা এই বলেই হাঁটতে শুরু করল। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা