২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শেভরোটেইনের একই অঙ্গে বহু রূপ

-

বলছি, শেভরোটেইন খুরবিশিষ্ট স্তন্যপায়ীদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণী। উচ্চতা মাত্র ৪০ সেন্টিমিটার। প্রাণীটির রয়েছে একাধিক নাম।
বালাবাক দ্বীপের পালাওয়ানে স্থানীয়ভাবে এটি পিলানডক হিসেবে পরিচিত। এর তেলেগু নাম জারিনিপান্ডি, যার অর্থ একটি হরিণ এবং একটি ইঁদুর। সিংহলা নাম মিমিনা, অর্থ ইঁদুরের মতো হরিণ। আর শেভরোটেইন নামের উৎপত্তি ফ্রেঞ্চ ভাষা থেকে, যার অর্থ খুদে ছাগল। এটি মাউস ডিয়ার নামেও পরিচিত। শেভরোটেইনের নামের অর্থের সাথে হরিণ বিষয়টি এলেও এটি কিন্তু হরিণ পরিবারের সদস্য নয়। তবে দেখতে কিছুটা হরিণের মতো। এর মিল শুধু হরিণের সাথেই নয়, আরো অনেক প্রাণীর সাথেই মিল রয়েছে। এ যেন একই অঙ্গে বহু রূপ ধারণ করার মতোই। এর দেহের আকৃতি খরগোশের মতো। সরু নাকের গঠন আবার শূকরের মতো।
হরিণের মতো লম্বা শিং না থাকলেও ঊর্ধ্ব চোয়ালে রয়েছে লম্বা দাঁত। হরিণ যেমন আত্মরক্ষার জন্য শিং ব্যবহার করে, তেমনি এরা ব্যবহার করে লম্বা ছেদন দাঁত। এর পাগুলো সরু, আকারে একটি পেনসিলের মতো। শূকরের মতো এদেরও প্রতি পায়ে আঙুলের সংখ্যা চারটি।
শেভরোটেইন নিঃসঙ্গ নিশাচর প্রাণী। রাতে খাবারের সন্ধানে বের হয়। গাছের পাতা, ফুল, ফল, ডাল, গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ ইত্যাদি খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। দিনের বেলায় বনের মধ্যে থাকে। কোনো চলাফেরা করে না। মাঝে মধ্যে গাছের ডালে বিশ্রাম নেয়। চিবুকের নিচের গ্রন্থি নিঃসৃত পদার্থ, পেশাব ও মল দ্বারা এরা এদের এলাকা চিহ্নিত করে রাখে। অবশ্য এ এলাকার আয়তন বেশি বড় নয়, ১৩-১৪ হেক্টর। তবে এরা প্রতিবেশী শেভরোটেইনকে তেমন ভ্রƒক্ষেপ করে না। এদের পানির প্রতি বেশ আসক্তি রয়েছে। শত্রুকে কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য এরা পানির নিচে অনেকক্ষণ ডুব দিয়ে থাকে।
আফ্রিকা, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এদের পাওয়া যায়। প্রাণীটির বৈজ্ঞানিক নাম ঞৎধমধষঁং হরমৎরপধহং.


আরো সংবাদ



premium cement