রিশা রাফির দিনগুলো
- সারমিন ইসলাম রত্না
- ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
পঁচিশ.
প্রতিযোগিতায় তুই বিজয়ী হলে আমি পাঁচটি বই উপহার দেবো। রিশা সম্মতি জানিয়ে বলল, আমি রাজি প্রতিযোগিতায়। তুমি বিজয়ী হলে আমিও তোমাকে পাঁচটি বই উপহার দেবো।
শুরু হলো দুই-ভাই বোনের বই পড়া প্রতিযোগিতা। এবার লুকিয়ে লুকিয়ে নয়, ওদের বাবা-মায়ের চোখের সামনেই। রিশা রাফি একসঙ্গে স্কুলে যায়। রিশাকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে রাফি তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়। দুই ভাই-বোন বাসে বসে অনেক গল্প করে। কিন্তু আজ দুজনেই বই পড়ায় মগ্ন। রিশা রাফি অভ্যাসবশত কথা বলতে গিয়েও থেমে পড়ল। পুনরায় ওদের বই পড়া চলতে থাকল। এমনকি স্কুল থেকে ফেরার পথে জ্যামে বসেও ওদের বই পড়া চলতে থাকল। অবসর পাক বা না পাক যখন তখন শুরু হলো ওদের বই পড়া। এভাবে পনেরো দিন কেটে গেল। রাফি আপন মনে বলল, মাত্র পাঁচটি বই পড়ে শেষ করেছি। রিশাও একা একা বলল, মাত্র চারটি বই পড়ে শেষ করলাম। আঠারোটি বই শেষ করা বহু পরের ব্যাপার। কী যে করব?
হঠাৎ মায়ের ডাক। তোমরা এখনো বই পড়েছ? তোমাদের বাবা তার ঘরে ডাকছেন। তাড়াতাড়ি এসো। রিশা, রাফি একে অপরের দিকে তাকাল। দুজনেরই ভয় ভয় লাগছে। মা বললেন, ওভাবে তাকানোর কিছু নেই। এসো আমার সঙ্গে। ওরা মায়ের পিছু পিছু বাবার ঘরে গেল। বাবা ওদের দিকে তাকিয়ে আশ্বস্ত করে বললেন, ভয়ের কিছু নেই। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা