পেকারি
- মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ
- ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
বলছি পেকারি সম্পর্কে । এটি একটি প্রাণীর নাম। বাহ্যিক দৃষ্টিতে শূকরের সাথে পেকারির বেশ মিল দেখা যায়। এদের নাকের ডগায় শূকরের চাকতির মতো গঠন রয়েছে। তা ছাড়া চোখও অনেকটা শূকরের মতো। এসব মিলের কারণে কেউ কেউ একে শূকর বলে থাকে। এটি দেখতে শূকরের মতো, তবে শূকর নয়।
এ প্রাণীর দু’চোখের নিচে এবং দেহের পেছনের দিকে ঘ্রাণগ্রন্থি রয়েছে। গ্রন্থি নিঃসৃত ঘ্রাণ দিয়ে এটি এর এলাকা চিহ্নিত করে রাখে। কোনো পালের পেকারি অন্য পালের পেকারির সাথে গা ঘষাঘষি করে ঘ্রাণ নিঃসৃত করে এবং ওই পেকারিকে চিহ্নিত করে। পেকারির একটি পালে প্রায় ১০০ সদস্য থাকে।
পেকারি উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যম আকারের স্তন্যপায়ী । এ প্রাণীর
দাঁত খাটো ও খাড়া। বীজের শক্ত খোলস ভাঙা ও গাছের মূল কেটে টুকরো করার জন্য এদের দাঁত বেশ উপযোগী। শত্রু বা শিকারী প্রাণী যাতে কাছে ঘেঁষতে না পারে, সে জন্য এরা দাঁতে দাঁত লাগিয়ে ঠকঠক শব্দ করে ভয় দেখায়।
পেকারি কি পোষ মানে? পালন করা যায়? না। কারণ এটি কামড় দিয়ে মানুষকে আহত করে। এমনকি মানুষকে মেরে ফেলার প্রমাণও রয়েছে। এটি বিরক্ত বোধ করলে গাছ মূলসহ উপড়ে ফেলে। পেকারির দেহের দৈর্ঘ্য ৯০ থেকে ১৩০ সেন্টিমিটার। ওজন ২০ থেকে ৪০ কেজি। এটি মূলত সর্বভুক। পছন্দের খাবার ছোট গাছের নরম মূল, ঘাস, বীজ ও ফল। তবে মাঝে মাঝে ছোট প্রাণীও খায়।
কাইওটরা পেকারির বাচ্চাকে শিকার করতে পছন্দ করে। তবে স্বাস্থ্যবান পেকারির দিকে হাত বাড়াতে ভয় পায় ।
পেকারির অপর নাম জাভালিনা । জাভালিনা শব্দটি এসেছে স্প্যানিশ শব্দ জাবালিনা থেকে। আর জাবালিনার উদ্ভব আরবি শব্দ জাবাল (পাহাড়) থেকে। ‘জাভালিনা’ অর্থ পাহাড়ি শূকর।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা