রিশা রাফির দিনগুলো
- সারমিন ইসলাম রত্না
- ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
পনেরো.
রিশা উঠে যাচ্ছিল। মা ধমক দিয়ে বললেন, বসো, খাবার নষ্ট করতে নেই। রিশা চোখ মুখ কুঁচকে জোর করেই খাবার খেল। রাফিও ইচ্ছার বিরুদ্ধে খাবার খেল।
সন্ধ্যা নেমেছে। রিশা জানালার পাশে বসে আছে। রাফি মোবাইল হাতে নিয়েছে মাত্র। অমনি মা বললেন, তোমরা এখানে কী করছ? একটু পর টিচার আসবে। রেডি হও। রিশার খুব কান্না পাচ্ছে। বলতে ইচ্ছে করছে, কত সুন্দর এই পৃথিবী। তবু মাঝে মাঝে কিছু ভালো লাগে না। প্লিজ মা, আমাকে একটু নিজের মতো থাকতে দাও। হঠাৎ রিশার চোখ মুখ বিকৃত হয়ে গেল। রিশা পেট চেপে ধরে বলল, খুব খারাপ লাগছে। পেট ব্যথা করছে। রাফি বলল, করবেই তো। জোর করে খাবার খেয়েছিস। মা রাগী স্বরে বললেন, জোর করে খাওয়ার জন্য এমন হবে কেন? তোমরা তো বাইরে গেলেই রাস্তাঘাটের খাবার খাও। তাই হয়েছে। রিশা কাতর কণ্ঠে বলল, প্লিজ মা, প্লিজ । আমরা সবসময় ভুল বলি না। আর ভুল করিও না।
বাবা দ্রুত অফিস থেকে ফিরলেন। সঙ্গে একজন ডাক্তার নিয়ে এলেন। ডাক্তার রিশাকে পর্যবেক্ষণ করলেন। ডাক্তার রিশার চোখ দেখলেন। বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে বললেন। রিশা বড় বড় নিঃশ্বাস নিলো। ডাক্তার রিশার পেটে হাত দিয়ে দেখলেন। তারপর প্রশ্ন করলেন, হঠাৎ এমন হলো কেন? রিশা বাবার দিকে তাকাল। মায়ের দিকেও তাকাল।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা