রিশা রাফির দিনগুলো
- সারমিন ইসলাম রত্না
- ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
এগার.
আবার সেই পাতা সবুজ হয়। শুকনো গাছে ফুল ফোটে। আমাদের জীবন ঠিক তেমনি। রিশা মামনি আমার, যাও বাসন্তী রঙে নিজেকে রাঙাও। তোমার আঁকা ছবির মতো। রাফি রিশা দুই ভাই-বোন একে অপরের দিকে তাকাল। আজ তাদের চোখ অনেক কিছু বলছে। তাদের সেই না বলা কথাগুলোই তারা বাস্তবে রূপ দিয়েছে।
ছোটরাও ভুল ধরতে পারে : রাফি স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছে। বাবা অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছেন। হঠাৎ রাফি বাবার হাত ঘড়ির দিকে তাকাল। শান্ত স্বরে বলল, বাবা, তোমার ঘড়ির টাইম ঠিক নেই। বাবা ভ্রু কুঁচকে ঘড়ির টাইম ঠিক করলেন। রাফি বলল, মুখ অমন কঠিন করে রেখেছ কেন? বাবা, আমি তো তোমার ভালোর জন্যই বললাম। বাবা কিছু না বলে অফিসের উদ্দেশ্যে গেলেন।
রিশা রেডি হতে হতে মাকে বলল, মুখটা অমন করে রেখেছ কেন? বাবার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে বুঝি? আসলে একজনকে ছাড় দিতেই হবে। কিন্তু তোমরা সেটা করো না। মা ধমকে উঠে বললেন, পাকনামো করো না। তাড়াতাড়ি করো। বাস ছেড়ে দেবে। রিশা মনে মনে ভাবল, পাকনামো কোথায় করলাম? আমি তো ভালোর জন্যই বললাম। আমার ভালো চাওয়াটা তোমাদের কাছে মনে হলো ভুল ধরেছি।
রিশা রাফি মন খারাপ করে স্কুলের বাসে উঠল। রিশাকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে রাফি তার স্কুলে যাবে। এটা রাফির প্রতিদিনের কাজ।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা