পাখির নাম বাঁশঘুঘু
- মো: আবদুস সালিম
- ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
বলছি, তোমরা তিলা ঘুঘুসহ আরো অনেক নামের ঘুঘু পাখির সাথে পরিচিত। কিন্তু বাঁশঘুঘুর নাম কি কখনো শুনেছো? জানো, বাঁশঘুঘু বেশ লাজুক ও ভিতু স্বভাবের হয়ে থাকে। এ পাখি বন-বাগানের ভেতর মাটির বেশ কাছাকাছি ছোট গাছে বিশ্রাম নেয়। ঘন বনজঙ্গল এদের বেশি পছন্দ। সারা দেশে কমবেশি বাঁশঘুঘুর দেখা মেলে। তবে বেশি চোখে পড়ে খুলনা, বাগেরহাট অঞ্চলে। এদের পিঠ চকচকে সবুজ। লেজ ও ডানা চওড়া, কিন্তু খাটো। বাদামি গোলাপি বুক-গলা এবং ঘাড়-মাথা। চোখের ওপর রয়েছে সাদা রেখা। লেজের পালক ও ডানার শেষের দিকটা চকচকে কালো। পুরুষ বাঁশঘুঘুর মাথার রঙ ধূসর। দেখে মনে হবে ধূসর রঙের টুপি পরে আছে। পুরুষের ঘাড়ের কাছাকাছি ডানার শেষ অংশও কিছুটা ধূসর। পা ও ঠোঁট টকটকে লাল। এদের ওজন প্রায় ১৩৫ গ্রাম।
এ পাখি বেশি খায় ছোট ফল, উইপোকা, ঘাসের বীজ, কীটপতঙ্গ, শস্যদানা ইত্যাদি। মাঝেমধ্যে পানিও পান করে। ধুলোয় নেমে মাতামাতি করারও স্বভাব আছে। এরা বিচরণ করে দলবদ্ধভাবে। ডাকাডাকি করে কর্কশ শব্দে। ডিম পাড়ার সময় হলে বাসা বাঁধে। ডিম দেয় বছরে তিন-চারবার। বাসা বানায় বাঁশঝাড়ের কঞ্চির গোড়ায়। ডিম পাড়ে প্রায় দুটো। তা দেয় স্ত্রী-পুরুষ মিলে। ডিম ফুটতে সময় লাগে প্রায় ১৫ দিন। ১২-১৩ দিনে হাঁটতে পারে ছানারা। বাঁশঘুঘুর ইংরেজি নাম গ্রে-কেপড এমারেল্ড ডাভ (এৎবু-পধঢ়ঢ়বফ বসবৎধষফ ফড়াব)। বৈজ্ঞানিক নাম চালকোফাপস ইনডিকা ( ঈযধষপড়ঢ়যধঢ়ং রহফরপধ)। এ পাখিকে অনেকে মেটে ঘুঘু, সবুজ ঘুঘুও বলে থাকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা