২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আরি দং কী

-

বলছি কি, ওজন মাপার জন্য এ কালে অনেক ধরনের আধুনিক যন্ত্র বেরিয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এখনো গ্রামে দাঁড়িপাল্লাই ওজন মাপার প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি উপজাতিদের অনেকের কাছেই সে দাঁড়িপাল্লাটাও যেন অচেনা। তারা বিভিন্ন খাদ্যশস্য বিশেষত ধানের ওজন মাপেন ‘আরি দং’ দিয়ে। এক আরি দংপূর্ণ ধানকে তারা বলেন এক আরি ধান। আরি দংয়ের আকার অনুযায়ী এক আরি ধান ১০ থেকে ১৬ কেজির সমান হয়। অতীতে ১৬ কেজি আরির প্রচলনই বেশি ছিল। এখন ১২ কেজি আরির চল বেশি। আদিকালে তো বটেই, এখনো উপজাতিদের কাছে জুমের ধান মাপার এটাই একমাত্র ও প্রধান উপকরণ। তারা যখন জুমে বীজ বুনতে যান, তখনো এতে করে মেপে বীজ বোনেন। আগে এক আরি বীজ বুনলে জুম থেকে ১০০ থেকে ১১০ আরি ধান পাওয়া যেত, এখন পাওয়া যায় ৬০ থেকে ৭০ আরি ধান। আরির মাপ যেমনই হোক না কেন বীজ বোনা ও উৎপাদনের আনুপাতিক হিসাবটা তাদের কাছে এ রকমই সরল। মারমা ভাষায় ‘আরি দং’ আর চাকমা ভাষায় ‘আঁরি’ হতে পারে হাঁড়ি শব্দের অপভ্রংশ। কেননা আরি দং দেখতে হুবহু হাঁড়ির মতো না হলেও অনেকটা তেমনই এক পাত্র বিশেষ। এক খণ্ড বড় গাছের গুঁড়ি খোদাই করে ডোলা বা হাঁড়ি সদৃশ একটি পাত্র তৈরি করা হয়। তলাটা সমান, গোলাকার মুখ। পাত্রটির দু’পাশে দু’টুকরো কাঠ লাগানো থাকে ধরার জন্য। সব সময় আরি দং কাজে লাগে না। তাই অন্য সময় একে অন্য কাজেও ব্যবহার করা হয়। এমনকি এর ভেতরে খড়কুটো দিয়ে মুরগিকেও উমে বসানো হয়। এখনো পাহাড়ি উপজাতিরা আরি দংয়ের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার কমছে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন ফি গাজীপুরে কোরআন অবমাননার অভিযোগে কলেজছাত্র গ্রেফতার অযাচিত অস্থিরতা নয়, দায়িত্বশীল হোন সুখী : দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন বেসরকারি স্কুল-কলেজে সাত পদে এনটিএসসির অধীনে নিয়োগ এই মুহূর্তে হঠকারিতা দিকে যাওয়া জাতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে : মির্জা ফখরুল পাইকগাছার নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার সেনা অভ্যুত্থান, সেনা শাসন ও আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদের দোসরদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : গোলাম পরওয়ার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও এডুকেশন মালয়েশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক

সকল