বুট্রিন্ট কাহিনী
- লোপাশ্রী আকন্দ
- ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
জানো, সেই কবে বুট্রিন্ট শহরের সমৃদ্ধির আলো নিভে গেছে, কোলাহল গেছে থেমে। তবুও এখন অতীত গৌরবের স্মৃতি হয়ে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরটি। ইউরোপের মুসলমান-প্রধান দেশ আলবেনিয়ার দক্ষিণাংশে এর অবস্থান। ১৯৯২ সালে এটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের মর্যাদায় ভূষিত হয়।
খালের মাধ্যমে হ্রদ ও ভূমধ্যসাগরে প্রবেশের সুবিধা, আরামদায়ক আবহাওয়া, চার দিকের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সুরক্ষা স্থানটিকে করেছিল অনন্য। তাই হারানো দিনের স্থপতিরা এখানে গড়ে তুলেছিলেন বিশ্বের প্রধান সামুদ্রিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোর একটি।
বুট্রিন্ট তার সমৃদ্ধি ও গৌরবের ধ্রুপদী পর্যায়ে পৌঁছে খ্রিষ্টপূর্ব চার শতকে। এ সময় নগরীর জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার। খ্রিষ্টপূর্ব ছয় শতকের এ নগরী সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছিল। প্রতিরক্ষার জন্য এ সময় দুর্গ গড়ে তোলা হয়। পাহাড়ের ওপর বড় বড় পাথরের ব্লক ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয় অ্যাক্রোপলিস- নগরীর সুরক্ষিত অংশ। ১০ শতক পর্যন্ত নগরীটি তার মোটামুটি গৌরব ধরে রেখেছিল। ১১ শতকে বর্বরদের লুণ্ঠন আর নর্মানদের হামলায় এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১১৫৩ সালে ভেনিসীয়রা এ নগর দখল করে নেয়। ১৩৮৬ সালে ভূগর্ভস্থ পানির ক্ষরণ আর এর পরবর্তী মহামারীর কারণে নগরবাসী পালাতে বাধ্য হয়। আর এভাবেই বুট্রিন্ট ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ১৫ থেকে ২০ শতক পর্যন্ত আলবেনিয়ায় ওসামনীয় সাম্রাজ্যের (তুরস্ক) শাসনের যুগে নগরীটি ঘোর সুখনিদ্রায় সময় অতিবাহিত করে। কাদা আর গাছপালায় ঢেকে যায় এলাকাটি।
২০ শতকের প্রথমার্ধে ইতালীয় প্রতœতত্ত্ববিদ ই উগোলিনি, পি মার্কোনি ও ডি মুস্টিলি বুট্রিন্তে খননকার্য চালান। এর ফলে প্রাচীন নগরীর হারানো সম্পদ এবং গৌরব বিশ্ববাসীর নজরে আসে। ১৯৪৪ সালে আলবেনিয়া থেকে অক্ষ শক্তি হটে গেলে খননকাজ আরো বেশি গতি পায়। পর্যায়ক্রমে এখানে আবিষ্কৃত হয় কেল্লা, অ্যাক্রোপলিস, অ্যাগোরা (বাজারবিশেষ), মন্দির, গণগোসলখানা, ব্যক্তিগত বাসস্থান ও অ্যামফিথিয়েটার (গোলাকার বা ডিম্বাকৃতি ছাদহীন অট্টালিকা, যার ভেতরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার আয়োজন করা যায়)। ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও এগুলোর কাঠামো এখনো বেশ স্পষ্ট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা