২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

আশি.
এত সহজে কোনরকম প্রশ্ন ছাড়াই কেমিক্যালগুলো পাবে সজীব ভাবতেই পারেনি। স্যারের সইস্বাক্ষরেই সহজে কাজ হয়েছে। এমনকি দামও নিয়েছে আগের দামে। বেশি দাম ধরেনি। ওরা অন্য একটা দোকান থেকে দাম যাচাই করে এসেছিল।
সজীবরা লক্ষ্য করেনি, কেমিক্যাল নিয়ে ওরা যখন দোকান থেকে বের হচ্ছে তখন একজন বয়স্ক মানুষ ওদের ফলো করে পিছু নিয়েছে।

গোপন বৈঠক চলছে। স্কুল কমিটির চেয়ারম্যান, পাতি নেতার আস্তানায়। গোপনে। উপস্থিত আছেন স্কুলের প্রিন্সিপাল, নেতা আর বিজ্ঞান স্যার। বৈঠকের আহবান বিজ্ঞান স্যারের। বিকালে কেমিক্যালস এর প্রোপাইটারের ফোন পেয়েই তিনি মিটিংয়ের আয়োজন করেন। আর বিচ্ছু চারজনের পিছনে টিকটিকি লাগিয়ে দিয়েছেন। কাল টিফিনের পরে বিজ্ঞান ক্লাসে ওদের দেরী করে আসায় সন্দেহ করা উচিত ছিল। ওরা টিফিনে বাড়িতে যায়নি। ওই ক্লাসরুমেই ঢুকেছিল। তিনি ওদের বাড়িতে ফোন করে কনফার্ম হয়েছেন।
নেতা বললেন, মিটিংটা তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে। আমার আবার রাতে এক জায়গায় দাওয়াত আছে। যা বলার মূল কথা সংক্ষেপে বলুন।
প্রিন্সিপাল বিজ্ঞান স্যারের দিকে তাকালেন। অর্থাৎ তুমি মিটিং ডেকেছো তুমিই বলো।
বিজ্ঞান স্যার, নাটকীয় ভঙ্গিতে বললেন, ‘এক্সম্যান স্যার বেঁচে আছে।’
‘মানে?’ নেতা ও প্রিনিস্পাল এক সাথে আতকে উঠলেন। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement