২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

আটাত্তর.
মনে হচ্ছে সামান্য পানি পর্যন্ত খায়নি? তিনি ওদের দিকে ভালো করে তাকালেন। কেমন যেন সন্দেহ হতে লাগল তার... এরা চারজন টিফিন ফাকি দিয়ে কোথায় গিয়েছিল... সারা গায়ে ঝুলময়লা মতো? ঝুলময়লা তো এক জায়গায়ই থাকে... ক্লাসরুম ৩৬৫ তে....গন্ধটা কেমন যেন সন্দেহজনক...
স্কুল শেষে বাইরে বেরিয়ে সজীব বলল, ‘তোরা কি আমার সাথে কেমিক্যালের দোকানে যাবি? তাহলে বার্গার আর কোক খাওয়াব।’
রাফি আর নিলয় একে অন্যের দিকে তাকাল। টিফিনে বাড়িতে যায়নি। এখন আবার দেরী করলে? রাফি বলল, ‘হুঁ। এখন যাবো। রাতেও আসব। কিভাবে আসব সেটা পরে আলোচনা করা যাবে। আগে খিদে মেটাতে হবে।’
রিমি বলল, ‘তার আগে চল ফোনের দোকানে। যার যার বাড়িতে ফোন করে দেই, আসতে একটু দেরি হবে। ’
‘কী বলবি?’
‘বলি এক বন্ধুর জন্মদিন। সে আজকে ফাস্টফুডের দোকানে খাওয়াবে। এমনিতেই তো আমরা খেতে যাচ্ছি। কেউ দেখলেও তো আর বাড়িতে মিথ্যে হবে না।’
‘ঠিক আছে। আগে ফোন। তারপর ফাস্টফুড।’ নিলয় বলল।
সজীব ইতস্তত করতে লাগল। যদি স্যারের কেমিক্যাল কেনার টাকায় কম পড়ে যায়। কিন্তু স্যার তো বলেছেই ওতে টাকা বেশি আছে। তাছাড়া তার নিজের কাছেও টাকা আছে। ওতে ম্যানেজ হয়ে যাবে।
যার যার বাড়িতে ফোন করে ওরা বিএফসিতে এলো। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement