২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

সাতাত্তর.

‘স্যার দেরি হয়নি। আগেই এসেছি। নতুন ভবনে কনস্ট্রাকশনের কাজ দেখছিলাম।’ রাফি সরল গলায় বলল।
‘কাজ দেখছিলে তা ক্লাসের ঘণ্টা শুনতে পাওনি?’ বিজ্ঞান স্যার চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন, ‘আর কনস্ট্রাকশনের কাজ দেখার কি আছে? কাল একজনের মাথা ফেটেছে জানো না।’
‘জ্বি স্যার। আমরা দূরে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম।’ নিলয় ভয়ে ভয়ে বলল।
‘ঠিক আছে. জায়গায় গিয়ে বসো। এই যে নতুন ছেলে তোমার নাম যেন কি রাজিব না কি যেন...’
‘সজীব স্যার।’ সজীব সিটে বসতে বসতে বলল।
‘কাল টিফিন পিরিয়ডে তুমি কোথায় হাওয়া হয়ে গিয়েছিলে? ক্রিকেট! ক্রিকেট আমি বের করছি দাঁড়াও।’ তারপর সব ছাত্রছাত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘অ্যাই শোন তোমরা, এখন থেকে প্রতিদিন টিফিনের পরে রোলকল করা হবে। কাউকে না পাওয়া গেলে তার বাড়িতে চিঠি যাবে। গার্জেনের কাছ থেকে কারণ দেখিয়ে সই আনতে হবে, বুঝেছো। কাজেই টিফিন ফাঁকি দিয়ে ক্রিকেট ফুটবলের চিন্তা কেউ মাথায় আনবে না। আর শোন, বিজ্ঞান ক্লাসে আজ কি যেন...যাই হোক, তোমরা সবাই বিজ্ঞান মুখস্থ করবে। বিজ্ঞান মুখস্থ করার বিষয়। এক্সপেরিমেন্ট করে আগুন ধরিয়ে দেয়ার বিষয় না...’
বিজ্ঞান স্যার মুখস্থ লেকচার দিতে দিতে চারমর্তির দিকে তাকাল। এরা লাঞ্চ করতে বাড়ি গিয়েছিল। তাহলে এদের মুখ এরকম শুকনো কেন?
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement