২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

বাহাত্তর.
সজীব বলল। স্যারকে এভাবে রুমের ভেতরে দেখবে আশা করেনি।
‘নিচেই ছিলাম। আমাদের ধূর্ত প্রিন্সিপাল আর ধান্দাবাজ বিজ্ঞান স্যারের গলা শুনতে পাই। তারা কোনো একটা দলিলটলিল আমার এই রুমে লুকিয়ে রেখেছে বলে মনে হলো। ওরা চলে যেতেই বেরিয়ে এসে ব্যাপারটা কি দেখতে চাইলাম। তখনই তোরা এসে পড়লি।’
জংলী পশুই যে তাদের প্রিয় এক্সম্যান স্যার তাই দেখে আর কথা বলা শুনে নিলয় আর রাফির ভয় একদম কেটে গেল। লোমশ হাতে রিমির মুখ চেপে ধরায় সে এখনো কিছুটা ভীত চোখে স্যারের দিকে তাকাচ্ছে।
স্যার বললেন, ‘তোদের কি দিয়ে আপ্যায়ন করি! সভ্য জগতের কোনো খাবারই তো আমার জোটে না। ফলমূল, শিকড়বাকড় খেয়ে বন্য জন্তুর মাংস খেয়ে দিন কাটাই।’ তারপর মনে পড়েছে এরকম ভঙ্গিতে বললেন, ‘পেয়ারা খাবি? কয়েকটা ডাসা পেয়ারা কাল রাতে ছিঁড়ে এনেছিলাম।’
কারোরই টিফিন খাওয়া হয়নি। সবাই মাথা নেড়ে হ্যাঁ জানাল। রিমি কোনো মতে বলল, ‘পেয়ারাই ভালো।’
স্যার দরজা বন্ধ করে দিয়ে ওদেরকে ল্যাবের একপাশের কয়েকটা টুলে বসতে দিলেন। পেয়ারা খেতে খেতে সজীব জিজ্ঞেস করল, ‘স্যার আপনার সেই ইঁদুর ব্যাঙগুলো কই?’
‘ওগুলো খাঁচায় আটকে রেখেছি। ছেঁড়ে দিলে তোরা ভয় পাবি?’
‘আপনি প্রিন্সিপাল স্যার আর বিজ্ঞান স্যারকে ভয় দেখাতে ছেঁড়ে দিতে পারতেন?’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement