ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ
- প্রিন্স আশরাফ
- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
আঠারো.
এক ঘণ্টার লাঞ্চের বিরতি। ছেলেমেয়েরা হইহই করে ক্যাম্পাসের মাঠে জড়ো হলো। ক্যাম্পাসের মাঠ চমৎকার। ওখানে বিরতির এক ঘণ্টা খেলা যায় এমন খেলায় শুরু করে দিলো তারা। যাদের বাসা আশপাশে তারা সাইকেল চালিয়ে বাড়িতে লাঞ্চ করতে গেল। সজীব লাঞ্চে বাড়ি যায় না। তার বাড়ি বেশ খানিকটা দূর। সে স্কুল ক্যান্টিন থেকে অন্য অনেকের মতো স্নাকস খেয়ে কাটায়।
রাফির একটা বেশ সুন্দর স্পোর্টস সাইকেল আছে। সে নিলয়কে সাইকেলের পেছনে বসিয়ে লাঞ্চ করতে বাসায় গেল। দু’জনই একই সরকারি কোয়ার্টারে থাকে। এক সাথে যাতায়াত করে। নিলয়েরও একটা সাইকেল আছে। লেডিস সাইকেল। লজ্জায় স্কুলে নিয়ে আসে না।
রাফিরা চলে গেলে সজীবের নিঃসঙ্গ লাগতে লাগল। সে ক্যাম্পাসের মাঠের দিকে গেল। মেয়েরা রোদের মধ্যে বরফ পানি খেলছে। ছেলেরা এমনি ছুটোছুটি করছে। রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে ভালো লাগছে না। ক্রিকেট ছাড়া অন্য কোনো খেলা সজীব খুব একটা পছন্দ করে না।
একা একা হাঁটতে হাঁটতে সজীব নতুন ভবনের কনস্ট্রাকশনের কাজের ওখানে এসেছে। তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না। কাজ চলছে দেখতে ভালো লাগে।
শ্রমিকরা ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। ওদেরও লাঞ্চ টাইম বোধ হয়। এ সময় শ্রমিকরা মাথা থেকে হলুদ রঙের প্লাস্টিকের হেলমেট খুলে রেখেছে। উপর থেকে পড়া ইট-কাঠ-পাথর থেকে মাথা বাঁচাতে কাজের সময় ওদের মাথায় হেলমেট থাকে। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা