৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

সতেরো.

‘হুম। এক্সম্যান স্যারের ব্যাপারে কিছুই জানো না বোধহয়? তোমার পরিচয়টা আগে শুনি।’
‘আমার নাম ইমতিয়াজ আহমেদ সজীব। এই শহরে নতুন এসেছি। ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। বিজ্ঞান আমার খুব একটা অপছন্দের বিষয় নয়।’
স্যার কুটিলভাবে হাসলেন। বিড়বিড় করে বললেন, ‘বিজ্ঞান পছন্দের বিষয়। বিজ্ঞানের মতো একটা জঘন্য জিনিস পছন্দ হয় কিভাবে?’ তারপর জোরে জোরে বললেন, ‘নতুনদের অবগতির জন্য বলি, আমার আগে এই স্কুলে একজন বিজ্ঞান স্যার ছিলেন। ছিলেন বলছি এই জন্য তিনি নেই। তিনি যে এই স্কুলে থেকে বদলি হয়ে অন্য স্কুলে গেছেন তা নয়, তিনি চিরদিনের জন্য নেই হয়ে গেছেন। কেন গেছেন? কারণ তিনি বিজ্ঞান নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন। আমি আগেই বলেছি বিজ্ঞান এক্সপেরিমেন্টের বিষয় নয়। বিজ্ঞান কিসের বিষয়?’ উত্তরের আশায় তিনি ছাত্রছাত্রীদের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
সবাই সমস্বরে বলল, ‘বিজ্ঞান মুখস্থ করার বিষয়।’
‘শোন, নতুনদের জন্য বলি, তোমাদের আগের মোহিত স্যার মানে এক্সম্যান স্যার...ও শোনো, তাকে এক্সম্যান বলত কেন জানো? এক্সম্যান অদৃশ্য...তার মাথায় মগজ ছিল না তো তাই...বিজ্ঞান ডেমোনেস্ট্রটর রুমে পড়ে থাকতেন। তারপর সেখান থেকেই খুন হয়ে গেলেন। এখন ওই ডেমোনেস্ট্রটর রুমের দিকে ভুলেও কেউ যায় না। স্যারের আত্মা না রুমের মধ্যে আটকা পড়ে আছে। শোনো নতুন ছেলেরা, ভুলেও কেউ ডেমোনেস্ট্রটর রুমের দিকে যাবে না...’ ক্লাসের ঘণ্টা পড়ে গেল।
বিজ্ঞান স্যার যেরকম ঘণ্টা ধরে ক্লাসে ঢুকেছিলেন ঠিক তেমনি কথা থামিয়ে আরো কিছু এক্সপেরিমেন্ট মুখস্থ দিয়ে ঘণ্টা ধরে বেরিয়ে গেলেন।
তখনো সজীব জানত না ওই ডেমোনেস্ট্রেটর রুমেই তাকে ঢুকতে হবে। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement