ঘটন-অঘটন সুন্দরবন
- প্রিন্স আশরাফ
- ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
এগারো.
এলো অন্যভাবে। দু’জনে দুপুরে খেয়ে ভাতঘুম দিচ্ছিল। যদিও এই ভাতঘুম জিনিসটা মেজর নাভিদের পছন্দ না। এতে শরীরে চর্বি জমে। ভুঁড়ি বেড়ে যায়। কাজে আলস্যি আসে। কিন্তু কী করবে সে! এরকম একটা পেশা যেখানে কেউ যেচে না এলে কোনো উপায় নেই।
কলিংবেলের ঠং ঠং শব্দ যেন কেউ বুকে লাথি দিচ্ছে। নাহ, এই শব্দটা বদলিয়ে পাখির ডাক দিতে হবে। কত বিচিত্র শব্দের কলিংবেল আছে। তারটা লাগিয়েছে কিনা লাথি মারার শব্দ!
নাভিদ আড়মোড়া ভেঙে উঠল। জুয়েল উঠে গেছে। সে দরজা খোলার জন্য এগিয়েছে। কাজেই এই ফাঁকে তাকে ভদ্রস্থ হয়ে নিতে হবে। তা যেই আসুক। বাড়িওয়ালা আসতে পারে। মাসের ষোলো দিন হয়ে গেছে এখনো বাড়ি ভাড়া দেয়া হয়নি। পুলিশের বন্ধু, গোয়েন্দা এসব কারণেই তারটা কখনো নিতে আসে না। কিন্তু কতদিন আর না নিয়ে থাকবে?
সে বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখল টিশার্ট গায়ে জুয়েল তার রুমে দাঁড়িয়ে আছে। সে চুলে চিরুনি চালাতে চালাতে বলল, ‘কি রে জুয়েল, কেউ আসেনি? কলিংবেল চাপল কে? ভিখিরিটিখিরি নাকি?’
জুয়েল মাথার ঝাঁকড়া চুলে খসখস করে চুলকাতে চুলকাতে বলল, ‘চোর চোট্টা হবে বোধ হয়।’ তার কাঁচা ঘুম ভেঙেছে। মুখে বিরক্তি। চোখ লাল।
‘চোর চোট্টার গোয়েন্দার কাছে কী? আমাদের তো সাপে-নেউলে সম্পর্ক থাকার কথা, তাই না?’
‘দেখেন। হয়তো আপনারে যাচাই করতে এসেছে। তারপর কাজে নামবে। ব্যাটার কেমন যেন চোরের মতন চাহনি। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা