২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬
`

ওমর আলি সাইফুদ্দিন মসজিদ

ওমর আলি সাইফুদ্দিন মসজিদ -

আয়তন ও লোকসংখ্যায় ছোট্ট দেশ ব্রুনাই। দেশটির ‘ওমর আলি সাইফুদ্দিন মসজিদ’ আধুনিক ইসলামিক স্থাপত্যের এক চিত্তাকর্ষক উদাহরণ। এটি পরিদর্শনে মনের ওপর গভীর ছাপ ফেলে। ব্রুনাইয়ের মানুষের কাছে মসজিদটি ওই দেশের প্রধান ল্যান্ডমার্ক। রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ানের এই মসজিদ অনেক দূর থেকে দেখা যায়।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে জাঁকালো মসজিদ-দালানগুলোর একটি হিসেবে ওমর আলি সাইফুদ্দিন মসজিদের সুনাম রয়েছে। এটি শুধু ইবাদতখানাই নয়, একটি দর্শনীয় স্থানও। এটি পর্যটক-আকর্ষক বৈশিষ্ট্যম-িত। ব্রুনাই নদীর তীরের কাছে একটি কৃত্রিম হ্রদে মসজিদটির অবস্থান। একে বৃত্তাকারে ঘিরে আছে কামপং আয়ার নামের একটি জলগ্রাম।
ব্রুনাইয়ের ২৮তম সুলতানের নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৫৮ সালে মসজিদ-দালানের নির্মাণকাজ শেষ হয়। মসজিদটির নকশা তৈরি করেছিলেন একজন ইতালিয়ান স্থপতি।
মসজিদ-দালানে রয়েছে মর্মর পাথরে তৈরি দৃৃষ্টিনন্দন কয়েকটি মিনার ও সোনালি গম্বুজ। প্রধান গম্বুজটি খাঁটি সোনায় মোড়া। মসজিদের কয়েকটি আঙিনা ও ফুলের বাগান মনোহর। এগুলোতে রয়েছে সুদৃশ্য ফোয়ারা। মসজিদকে ঘিরে থাকা সবুজ গাছের প্রাচুর্য আর ফুলবাগানের মায়া অপূর্ব। ইসলামিক স্থাপত্যের গৌরব আর ফুলের সৌরভে একাকার যেন এক স্বপ্নিল জগৎ। এখানকার হ্রদে থাকা সর্পিলাকার একটি সেতু সত্যিই দেখার মতো। এটি হ্রদ পার হয়ে চলে গেছে জলগ্রামে। মসজিদ স্থাপনাকে সংযুক্ত করে এখানে রয়েছে অপর একটি মর্মর পাথরের সেতু, যা দেখতে সুদৃশ্য জাহাজের মতো। এক সময় এটি ব্যবহার করা হতো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের জন্য। মসজিদের উচ্চতা ৫২ মিটার (১৭১ ফুট)। বন্দর সেরি বেগাওয়ানের যেকোনো স্থান থেকে এটি দেখা যেতে পারে। মূল মিনারটি সবচেয়ে উঁচু। এতে রয়েছে একটি কার্যকর আধুনিক এলিভেটর (লিফটবিশেষ), যার মাধ্যমে স্থাপনার শীর্ষে উঠে নগরের বিস্তৃত অবাধ দৃশ্যপট দেখা যায়।
মসজিদের অভ্যন্তরভাগ ইবাদতের জন্য। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে চমৎকার পচ্চিকারি (মোজাইক) রঙমিশ্রিত স্বচ্ছ কাচ, খিলান, আধা খিলান, মর্মরস্তম্ভ ইত্যাদি। মসজিদে ব্যবহার করা পাথর, কার্পেট ইত্যাদি আনা হয়েছিল ইতালি, চীন, ব্রিটেন ও সৌদি আরব থেকে।


আরো সংবাদ



premium cement