০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১, ৫ শাবান ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

সন্ধান অবশেষে

-

পঁচিশ.

বাইরের লোক এখানে তেমন একটা দেখা যায় না।
যতটুকু দৃষ্টি যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এর একপাশে দুটি কড়ই গাছে যুগলবেঁধে দাঁড়িয়ে আছে। এর নিচে হাট বসে প্রতি শনি আর মঙ্গলবার। সামনে নববর্ষ। নববর্ষকে বরণ করে নিতে চাকমা আর তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের লোকদের মাঝে তোড়জোড়। সবাই কেনাকাটায় ব্যস্ত। পাহাড়ের অপর পাশে হীরকজল নদী। নদী যৌবন হারিয়েছে। নদী না বলে নদীর কঙ্কাল বলাই ভালো। সেই নদীতে কলা পাতায় ফুল ভাসিয়ে ফুলবিজু উৎসব পালন করা হয়। সব জাতির মঙ্গল কামনা করে এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব হয়।
চাকমা আর তঞ্চঙ্গ্যা শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে পানিতে ফুল ভাসানোয় অংশ নেয়। পরের দিন ফলাও করে এই বর্ণিল উৎসবের ছবি পত্রিকায় ছাপা হয়। পুরাতন বছরের দুঃখ-গ্লানি মুছে নতুন বছর নতুন সুখ নিয়ে হাজির হবে, এ আশায় এ উৎসব করা। মানুষ আশায় বেঁচে থাকে। স্বপ্নে বেঁচে থাকে। যদিও অধিকাংশ স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। স্বপ্নকে ধরতে গিয়ে স্বপ্নের পিছে দৌড়াতে দৌড়াতে জীবনটাকে পার করে দেয়। স্বপ্ন খুব চালাক। মোহ জাগায়। নিজের ছায়ার মতো। ধরা দেয় না। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি দুই ভুবনের বাসিন্দা। এদের কখনো মিলন হয় না। তবুও এ মিথ্যা মরীচিকার পেছনে ছোটে মানুষ অবিরত।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement