২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

দেবতাখুমের রহস্য

-

সাতাশ.
আরো আছে কর্দমাক্ত মাটি ও পাহাড়ের উঁচুনিচু পিচ্ছিল পথে চলার কষ্ট। এক্ষেত্রে গামবুট বেশ কাজের।
গহিন জঙ্গলে উঁচুনিচু পথে হেঁটে চলার অভিজ্ঞতা আবিদ কিংবা কমলের নেই। এ অভিজ্ঞতা আছে লীনার। সে-ই দুই বন্ধুকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাতের অন্ধকারে। সাথে টর্চলাইট আছে, কিন্তু সেটিকে যতটা সম্ভব ব্যবহার না করেই এগিয়ে যাচ্ছে তিন বন্ধু। তারা নিজেদের অবস্থান কাউকে জানাতে চায় না। দুর্গম পথ, চোখে নাইট ভিশন চশমা থাকায় ঘন জঙ্গলেও চারিদিকটা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ঘন জঙ্গলের উঁচুনিচু পথ তাদেরকে ধীরে ধীরে নিয়ে যাচ্ছে এক অজানা রহস্যের গভীরে।
এমন সময় ‘কুক’ করে একটি শব্দ আবিদ ও কমলকে চমকে দেয়। লীনা অভয় দিয়ে বলে, ভয় পাসনে। ওটা কুকচোর পাখি। এই পাখিটা রাতের বেলায় ডাকে। ক্ষণে ক্ষণে একবার কুক করে ওঠে পাখিটা। দিনের বেলায় কেউ পাখিটিকে দেখেনি। দিনে ওর ডাকও শোনেনি কেউ।
ওরা যে পথ ধরে যাচ্ছে তার পাশেই কচ্ছপতলী গা। কয়েকটি পরিবার নিয়ে একটি জনবসতি গড়ে ওঠেছে সেখানে। অনেকে বলে গ্রামটি অভিশপ্ত। গায়ের পাশে একটি বিশাল উপত্যকা। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement