আমেরিকার অ্যাঞ্জেলিনা জাতীয় বন
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অ্যাঞ্জেলিনা জাতীয় বন আকর্ষণীয়। এ বনে অনেক আমেরিকান আনন্দ বা শরীরচর্চার জন্য দীর্ঘ পদযাত্রায় বের হয়। কেউবা ভ্রমণ করে ঘোড়ার পিঠে চড়ে- পাহাড়ি পথে টগবগিয়ে আগ বাড়ে ঘোড়া; পরিব্রাজক আনন্দে উদ্বেলিত হয়। অলস দুপুরে কেউবা বড়শিতে মাছ ধরে জলাধারের পাড়ে বসে। এখানে পাওয়া যায় স্মারক (ট্রফি) আকারের বড় মাথাওয়ালা বিভিন্ন মাছ।
অনাবিল আনন্দে ভেসে যাওয়ার জন্য অনেক টেক্সাসবাসী দল বেঁধে বনের মাঝে ক্যাম্প করে সময় কাটায়- হয়তো কয়েক দিনের জন্য বনবাসী হওয়া।
বনের গাছপালার মধ্যে চিরহরিৎ পাইন, লবলোলি (পাইনবিশেষ) এবং হলুদ পাইন প্রধান। এখানকার জলাভূমিতে গাছের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ১৫০। এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রাণী ও পাখি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে হরিণ, কাঠবিড়াল, জংলি মুরগি (ওয়াইল্ড টার্কি), বনমোরগ (উডকক), ঘুঘু ইত্যাদি। ভালুক, ঘড়িয়াল এবং বিষাক্ত সাপও রয়েছে এ বনে। বনটি বল্ড ঈগলের শীতকালীন আশ্রয়স্থল। লাল দাগযুক্ত কাঠঠোকরাসহ বিপন্ন প্রজাতির অনেক পাখি দেখা যায় এখানে।
ধারণা করা হয়, প্রায় ৮ হাজার বছর আগে অ্যাঞ্জেলিনা বনভূমি এলাকায় মানব বসতি গড়ে উঠেছিল। এ বিষয়ে প্রত্নতবনাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে।
অ্যাঞ্জেলিনা জাতীয় বন প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে ১৯৩৬ সালে। বর্তমানে এটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাতীয় বন অ্যাঞ্জেলিনা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের নেচেস নদী অববাহিকায় অ্যাঞ্জেলিনা, নাকোগডোচেস, স্যান অগাস্টিন ও জাসপার জেলার (কাউন্টি) বিস্তীর্ণ এলাকায় এ বনের অবস্থান। বনটিতে রয়েছে স্যাম রেবার্ন জলাধার। জলাধারটি এ বনকে দ্বিখ-িত করেছে- এর উত্তর ও দক্ষিণ উভয় উপকূলে বনের বিশাল সীমানা। আয়তন প্রায় ৬২০ বর্গকিলোমিটার।
বনের মাঝে থাকা বিশাল জলাধার স্যাম রেবার্ন এক বিশেষ আকর্ষণ। পরিব্রাজকরা এখানে নানা জলক্রীড়ায় মত্ত হয়; মাছধরা, নৌকা বাওয়া ইত্যাদি আনন্দের উপকরণ রয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে বনভোজনের জন্য অনেক মানুষ আসে এখানে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা