২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

ব্ল্যাং জাতি

-

ব্ল্যাং মানুষেরা চীনের য়ুনান প্রদেশের একটি পুরনো নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী। এরা প্রধানত বাস করে জিশুয়াংবান্নায়- দাই স্বশাসিত অঞ্চলের মেংহাই জেলার পার্বত্য এলাকায়। প্রায় ২ হাজার ২০০ বছর আগেও এদের অস্তিত্ব ছিল।
ব্ল্যাং জনসংখ্যা প্রায় ৯২ হাজার। ব্ল্যাংদের ভাষার নামও ব্ল্যাং। এটি একটি মৌখিক ভাষা; লিখিত রূপ নেই। এরা এলাকাভেদে দাই, হ্যান (চীনা) ইত্যাদি ভাষাও ব্যবহার করে। আর লেখাপড়া করে প্রধানত চীনা ভাষায়।
ব্ল্যাংরা পূর্বপুরুষের পূজা করে। পশু-পাখির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের চিন্তাও এদের মাঝে রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মও অনুসরণ করে এরা।
শিল্প-সংস্কৃতিতে ব্ল্যাংরা অগ্রসর। সাহিত্য, সঙ্গীত, খেলাধুলা ও হস্তশিল্পে এরা বেশ সমৃদ্ধ।
ব্ল্যাং সমাজে মৌখিক সাহিত্য প্রচলিত। লোককাহিনী, রূপকথা, কবিতা, প্রবচন, ধাঁধা ইত্যাদির চর্চা রয়েছে। এদের রচনার সাধারণ বিষয়বস্তু বিশ্বের সৃষ্টি এবং সৌরজগৎ। উৎসবমুখর দিনে এরা ‘প্রত্যুৎপন্ন সঙ্গীত’ (উপস্থিতভাবে রচিত গান) গায়। এদের বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে রয়েছে ধাতব বাঁশি ও ঢোল। হাতির পা আকৃতির মঞ্চে এরা ঢোল তৈরি করে।
ব্ল্যাংরা খুবই সাহসী। এদের খেলাধুলায়ও সাহসিকতা ফুটে ওঠে। মার্শাল আর্ট (যুদ্ধবিষয়ক খেলা), শারীরিক বা মানসিক শ্রম, আত্মরক্ষা এবং বিভিন্ন জন্তুর অনুকরণে এদের সুনাম আছে।
ব্ল্যাংদের আবাসভূমিতে প্রচুর পরিমাণে বাঁশ ও বেত পাওয়া যায়। এদের বেশিরভাগ, এমনকি বৃদ্ধরাও এসব ব্যবহার করে সব ধরনের পিঠে বওয়া ঝুড়ি, ফুল রাখার ঝুড়ি, মাদুর, চালনি ইত্যাদি তৈরি করে। এরা বাঁশ ও বেত দিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্রও তৈরি করে। এদের বাঁশের ফালির তৈরি টেবিল খুব সুন্দর। ব্ল্যাংরা বাড়ি বানায় বাঁশ দিয়ে। এসব বাড়ি প্রায় ২০ বছর টিকে থাকে।
ব্ল্যাংরা নীল ও কালো পোশাক পছন্দ করে। প্রথানুসারে পুরুষরা উল্কি আঁকে এবং নারীরা কুণ্ডলী করে চুলের খোঁপা বাঁধে ও বড় কানের দুল পরে।
ভাত ব্ল্যাংকদের প্রধান খাবার। টক মাছ, কাঁচা গোশত ও শাকসবজি এরা পছন্দ করে।
ব্ল্যাংদের উৎসব খুব আকর্ষণীয়। ২৩ জুন এরা মশাল উৎসব পালন করে। পরিবারের সবাই একটি গাছের সামনে একত্রিত হয়। দেবতার উদ্দেশে একটি শূকর বলি দেয় এবং ভালো ফসলের জন্য প্রার্থনা করে। এ অনুষ্ঠান পালনের জন্য বিবাহিত নারীরা বাবা-মায়ের বাড়িতে নাইয়র আসে। উৎসবের দিন সন্ধ্যায় মশাল জ্বালানো হয় এবং ফলের গাছ আলোকসজ্জা করা হয়। ধ্বংসাত্মক বা ক্ষতিকারক বস্তু পুড়িয়ে দূর করার প্রতীক এটি।
১৪ বছর বয়সে ব্ল্যাং সমাজে বালক-বালিকারা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়। এ সময় চেংদিং উৎসব পালন করা হয়। বালিকারা গাছের ডালে (খড়ি) আগুন জ্বেলে কালো ধোঁয়ার সৃষ্টি করে এবং ছেলেদের দাঁত কালো করতে সহায়তা করে। এ কাজ করার পরই শুধু এরা ভালোবাসা ও বিয়ের অধিকার লাভ করে!


আরো সংবাদ



premium cement
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে পরিবহন ধর্মঘটে যাত্রীদের ভোগান্তি রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ১০ ঘণ্টা পর খুলনার সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিএনপির বৈঠক ঘূর্ণিঝড় ‘দানার’ প্রভাবে দেশে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে এবার জামায়াতে ইসলামীর রিভিউ আবেদন মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩ অস্ত্রকারবারি আটক অবসর ভেঙে টেস্টে ফেরার ইঙ্গিত ওয়ার্নারের মিরাজের ফিফটিতে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে কিছুক্ষণের মধ্যে বৈঠক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ৪ মামলা বাতিল

সকল