মানিনজাউ হ্রদ
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
বলছি, ইন্দোনেশিয়ার বিখ্যাত মানিনজাউ হ্রদের কথা । এটি একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মুখে অবস্থিত। আগ্নেয়গিরিকে ‘অগ্নিগিরি’ও বলে। ধারণা করা হয়, প্রায় ৫২ হাজার বছর আগে অগ্নিগিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হ্রদটি গঠিত হয়েছিল। অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মৃদু জলবায়ুর কারণে মানিনজাউ একটি বিখ্যাত পর্যটক আকর্ষক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। হ্রদ এলাকা প্যারাগ্লাইডিংয়ের জন্য বিখ্যাত। এটি একটি বিনোদন ও প্রতিযোগিতামূলক উড়ক্কু ক্রীড়া। এ ছাড়া ক্যানু (ডিঙি জাতীয় নৌকাবিশেষ) ও মোটরচালিত নৌকায় ভেসে নৈসর্গিক শোভাও উপভোগ করা যায় এখানে। হ্রদে সাঁতার ও পানির উপর উড়ার (Water skying) ব্যবস্থা রয়েছে।
মানিনজাউ হ্রদের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৭ কিলোমিটার। এর আয়তন প্রায় ৯৯.৫ বর্গকিলোমিটার। হ্রদটির গড় গভীরতা ১০৫ মিটার এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ১৬৫ মিটার। এ হ্রদের পানি নির্গমণ পথ আনতোকান নদী। নদীটি হ্রদের পশ্চিম পাশে অবস্থিত। এটি সুমাত্রার একমাত্র হ্রদ, যার পশ্চিম উপকূলে পানি নির্গমণ পথ রয়েছে। ১৯৮৩ সাল থেকে এ পানি ব্যবহার করে পশ্চিম সুমাত্রার জন্য জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হচ্ছে।
মানিনজাউ হ্রদের চারধারে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে মিনাংকাবাউ নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা বেশি। হ্রদের ধারের মানিনজাউ ও বায়ুরসহ বিভিন্ন গ্রামে এদের বাস।
১৯৯২ সাল থেকে মানিনজাউ হ্রদে কারাবাম্বা (ভাসমান জালখাঁচা) ব্যবহার করে মাছ, চিংড়ি চাষ করা হচ্ছে। এখানে প্রায় ২ হাজার খাঁচা রয়েছে। এগুলোর সাথে প্রায় ৬০০ পরিবার জড়িত। প্রত্যেক খাঁচা থেকে বছরে তিন থেকে চারবার মাছ আহরণ করা যায়।
মানিনজাউ হ্রদের পানির আয়তন প্রায় ১০.৪ ঘনকিলোমিটার। সাগর সমতল থেকে হ্রদের জলসমতলের উচ্চতা প্রায় ৪৫৯ মিটার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা